—প্রতীকী চিত্র।
দামোদরে তলিয়ে যাচ্ছিল স্কুল পড়ুয়া দুই বন্ধু। তাদের উদ্ধার করেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার, সোমবার অন্ডালের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কুঠিরডাঙা ঘাট এলাকায় এমনই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পুলিশ জানায়, সুরজ যাদব ও সাগর কুমার দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা। সুরজ দশম ও সাগর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ অনেকে কুঠিরডাঙা ঘাটে জল নিতে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই সুরজ ও সাগর এসেছিল। আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, তারা জলে নেমে তলিয়ে যেতে থাকে। ঘাট চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার, এক জন গ্রামীণ পুলিশ ও দু’জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। সুরজেরা তলিয়ে যাচ্ছে
বুঝতে পেরে সিভিক ভলান্টিয়ার অশোক সিংহ জলে ঝাঁপ দেন। তিনি একটি টিউব সাগরের দিকে ছুড়ে দেন। সেটি সে ধরে ফেলে। সাগরের পাশেই জলে হাবুডুবু খেতে থাকা সুরজকে অশোক টেনে আনেন। তার পরে দু’জনকেই পাড়ের দিকে তুলে নিয়ে আসেন তিনি। উদ্ধারে তাঁকে সহযোগিতা করেন কুঠিরডাঙার যুবক তপন মণ্ডল।
অশোক জানান, ঘাটে আসা সমস্ত ভক্তদের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে জল নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কথা না শুনে ঘাট থেকে কিছুটা দূরে চলে যেতেই এই বিপত্তি ঘটে। অশোক বলেন, “আর শুধু প্রচার নয়। এমন বিপত্তি যাতে না হয়, সে জন্য আমরা ঘাট ছাড়া জলে কাউকে নামতে দেব না।” সুরজ বলে, “আমাদের স্নান করা হয়ে গিয়েছিল। ঘটিতে জল ভরার সময়ে হঠাৎ পায়ের নীচ থেকে বালি সরে যেতে শুরু করে। তাতেই আমরা দু’জন তলিয়ে যাই। ওই সিভিক কর্মীর জন্যই প্রাণে বাঁচলাম।”
শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশ বাউরি জানান, এর আগেও ঘাট থেকে দূরে নেমে স্নান করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছেন অনেকে। সব ক্ষেত্রেই বহিরাগতেরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। পঞ্চায়েতের তরফেও নিয়মিত প্রচার চালানো হয়। এ বার বিশেষ দিনগুলিতে সচেতনামূলক শিবির করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy