Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kalna Murder Case

স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে, দুই যুবকের সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে খুন মেমারির বধূ! গ্রেফতার দুই ‘প্রেমিক’

মেমারির সুলতানপুরে ঘরের ভিতর থেকে নলি কাটা অবস্থায় প্রতিমা চক্রবর্তী নামে এক বধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ‘তত্ত্ব’।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেমারি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৩
Share: Save:

পরকীয়ার টানাপড়েনে খুন হলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বধূ। শনিবারের ওই ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন। তাঁরা মৃতের পরিচিত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

শনিবার রাতে মেমারির সুলতানপুরে ঘরের ভিতর থেকে নলি কাটা অবস্থায় প্রতিমা চক্রবর্তী নামে এক বধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ‘তত্ত্ব’। অবশেষে পুলিশের হাতে পাকড়াও হন শেখ ইব্রাহিম এবং তপন দাস নামে দুই ব্যক্তি। ইব্রাহিমের বাড়ি মশাগ্রামে। তপন দেবীপুরের বাসিন্দা।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, সুলতানপুরের বাসিন্দা হৃদয় চক্রবর্তী পাচকের কাজের সূত্রে অন্যত্র ছিলেন। ঘটনার দিন বাড়িতে একাই ছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা। পরিজনদের দাবি, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মেমারির চকদিঘি মোড় এলাকায় বোনের দোকানে যান প্রতিমা চক্রবর্তী। পরে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু রাত ১০টা নাগাদ বোন বাড়ি ফিরে দিদিকে ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে প্রতিমাকে।

জানা যাচ্ছে, ইব্রাহিমের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল প্রতিমার। কিছু দিন আগে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তপনের। তার সঙ্গেও গড়ে ওঠে পরকীয়ার সম্পর্ক। কয়েক মাস আগে ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তপন। তার পর থেকেই তপনের সঙ্গে মনোমানিল্য শুরু। পুলিশ জানতে পেরেছে, তপন বেশ কয়েক বার প্রতিমাকে বলেছিলেন, ইব্রাহিমের সঙ্গে যেন তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। কিন্তু গত শনিবারই ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রতিমা বেড়াতে গিয়েছিলেন খবর পান তপন। শনিবার সন্ধ্যায় তপন প্রতিমার বাড়িতে গিয়েও ইব্রাহিমকে দেখান। সেখান থেকেই এই খুনের ঘটনা। মনে করা হচ্ছে, দু’জনে মিলেই মহিলাকে ধারলো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করেন।

এই ঘটনা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘ধৃতদের আদালতে পাঠানো হলে তাঁদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’ তিনি জানান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই ওই খুন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তবে ধৃত দু’জনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই এই খুন কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy