Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বেলা বাড়তেই রাস্তা ফাঁকা, ছাড় স্কুলের সময়েও

সুনসান রাস্তা। বন্ধ বাড়ির দরজা-জানলা। একান্ত প্রয়োজনে যাঁরা বেরিয়েছেন, চোখে চশমা ও মুখ মুড়ে নিয়েছেন কাপড়ে। তাপপ্রবাহের জেরে এমনই চিত্র আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। প্রচণ্ড গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখছে হাসাপাতালগুলি। বিভিন্ন জায়গায় ট্যাঙ্কে করে পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দুর্গাপুর সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে বুধবার সব্যসাচী ইসলামের তোলা ছবি।

দুর্গাপুর সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে বুধবার সব্যসাচী ইসলামের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর ও আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১৫
Share: Save:

সুনসান রাস্তা। বন্ধ বাড়ির দরজা-জানলা। একান্ত প্রয়োজনে যাঁরা বেরিয়েছেন, চোখে চশমা ও মুখ মুড়ে নিয়েছেন কাপড়ে।

তাপপ্রবাহের জেরে এমনই চিত্র আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। প্রচণ্ড গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখছে হাসাপাতালগুলি। বিভিন্ন জায়গায় ট্যাঙ্কে করে পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পাঞ্চলে গরম হাওয়া বইতে শুরু করছে। সঙ্গে মাথার উপরে চড়া রোদ। ফলে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। সূর্যাস্তের পরে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। ফের ভিড় বাড়ছে রাস্তা, দোকান-বাজারে। ইতিমধ্যে গ্রামীণ এলাকায় অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় জলের তীব্র হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই আখের রস, ডাব, ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন।

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ওআরএস মজুত রাখতে বলা হয়েছে। কয়েক দিন পরেই ভোট। সেই সময়ে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে ভোটের কাজে যুক্ত কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বুথগুলিতে ভোটারদের জন্য পানীয় জলের কুঁজো রাখা হবে। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধের বন্দোবস্তও থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। গরম থেকে রেহাই দিতে দুর্গাপুর শহরের অধিকাংশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পঠন-পাঠনের সময়সীমা অন্তত এক ঘণ্টা করে কমানো হয়েছে। দুর্গাপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে শরীরে জলের অভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। দু’এক জন হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছেন। তবে তা তেমন গুরুতর নয়। আসানসোল হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাসও জানান, গরমে অসুস্থের সংখ্যা এখনও তেমন বাড়েনি।

আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, এই গরমে পানীয় জল সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। মহকুমাশাসক বলেন, “যে সব এলাকায় পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে, সেখানে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, আসানসোল জেলা হাসপাতাল-সহ শিল্পাঞ্চলের সব ক’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ এবং ওআরএস মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

summer scorching heat hot weather
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE