সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল। কিসান মান্ডিতে ধান দেওয়ার জন্যে পঞ্চায়েতের তরফে টোকেন সব চাষিদের দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এ দিকে, ধান কেনার দিন শেষ হয়ে আসছে। এই অভিযোগ নিয়ে পর পর দু’দিন মানকর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় চাষীরা। বিক্ষোভের মুখে কোণঠাসা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে অভিযোগকারী চাষিদের কিসান মান্ডিতে ধান দেওয়ার টোকেন বিলি শুরু করল।
মানকর এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন, গলসি ১ নম্বর ব্লকে একটি কিসান মান্ডি রয়েছে। সেই মান্ডিতে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের ধান দেওয়ার জন্য পৃথক পৃথক দিন দেওয়া হয়েছে। সেই দিনে পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের থেকে ধান নেওয়া হবে। কিসান মান্ডিতে ধান দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ‘টোকেন’ সংগ্রহ করতে হয় চাষিদের। সেই টোকেন দিয়ে ধান কবে নেওয়া হবে তার নির্দিষ্টি দিনও জানিয়ে দেওয়া হয়।
এখানেই পক্ষপাতের অভিযোগ। মানকর পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের একাংশের অভিযোগ, যাঁরা বড় চাষি তাঁদের নির্দিষ্ট দিন দেওয়া হলেও, ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক চাষিদের কোনও দিন ধার্য করা হচ্ছে না। বারবার পঞ্চায়েতে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ চাষিরা আগেও পঞ্চায়েতে বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের সরাসরি অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে স্থানীয় এক যুবককে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই যুবক ইচ্ছে মতো কাজ করছেন।
মানকর পঞ্চায়েতের তরফে দাবি, এলাকায় চাষির সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ধান কেনার দিন বাড়ানোর দাবি করছিলেন চাষিরা। তৃণমূল পরিচালিত মানকর পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী পাত্র রায় জানান, কিসান মান্ডিতে ধান কেনার দিন বাড়ানোর জন্য চাষিরা দাবি করেছিলেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে ওই যুবকের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy