Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Katwa

তোলাবাজির দায়ে ধৃত ভাগ্নে, কাটোয়ার উপপুরপ্রধানকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠাল পুলিশ

গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলবন্দি জনৈক সাদ্দাম শেখের হয়ে কাটোয়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগে অমিত মণ্ডল ওরফে বাপ্পা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই যুবক সম্পর্কে উপপুরপ্রধানের ভাগ্নে।

ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৯
Share: Save:

তোলাবাজির ঘটনায় ফের কাটোয়া পুরসভার উপপুরপ্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হল। তাঁকে এই নিয়ে চার বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠাল কাটোয়া থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এক বারও হাজিরা দেননি তিনি।

সম্প্রতি তোলাবাজির ঘটনায় নাম জড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুরসভার উপপুরপ্রধান লখিন্দর মণ্ডলের। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁকে চার বার নোটিস পাঠানো হলেও এক বারও তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি লখিন্দর। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে উপপুরপ্রধানকে ১৭, ১৯ এবং ২০ সেপ্টেম্বর পর পর তিনটি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার আবার কাটোয়া থানার পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রীর হাতে চতুর্থ নোটিস ধরানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কাছারিপাড়ায় লখিন্দরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী শর্মিলার হাতে নোটিস দিয়ে যায় পুলিশ। শর্মিলা বলেছেন, ‘‘পুলিশি হয়রানিতে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। গত পাঁচ দিন ধরে পুরসভাতেও যাচ্ছেন না।’’ গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতেও নেই তিনি। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘জেলে বন্দী আসামীর নির্দেশে উপপুরপ্রধান লখিন্দর মণ্ডলের ভাগ্নে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলত। মোবাইলটা লখিন্দরের গোডাউন থেকেই পেয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য লখিন্দরকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে। প্রথম নোটিসের পরেই আমি বলেছিলাম দেখা করতে। জানি না কোথায় আছে।’’ তবে শর্মিলার দাবি, তাঁর স্বামীকে সম্পূর্ণ নিরাপরাধ। এ সবই মিথ্যা অপবাদ। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে লখিন্দরকে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বর্ধমান কেন্দ্রীয় জেলা সংশোধনাগারে বন্দি থাকা সাদ্দাম শেখ নামে এক বিচারাধীন বন্দির হয়ে কাটোয়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগে অমিত মণ্ডল ওরফে বাপ্পা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। অমিত সম্পর্কে লখিন্দরের ভাগ্নে। লখিন্দরের পেঁয়াজের ব্যবসাও দেখাশোনার কাজ করতেন অমিত। জেলবন্দি সাদ্দাম যে ফোনে তোলাবাজির নির্দেশ দিত সেই মোবাইলটিও লখিন্দরেরই গোডাউন থেকে উদ্ধার হয়েছে। ভাগ্নের গ্রেফতারির পর অবশ্য লখিন্দর বলেন, ‘‘ওকে কেন গ্রেফতার করা হল, ও কী করেছে, সে সব কিছুই জানি না। আমি আমার ব্যবসা এবং পুরসভার কাজ নিয়েই থাকি। কে কী করছে, অত খবর রাখি না।’’ তার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লখিন্দরকে ১৭৯ ধারায় বার বার নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু দেখা মেলেনি তাঁর।

অন্য বিষয়গুলি:

Katwa Katwa Municipality Vice Chairman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE