মারপিটে জখম। নিজস্ব চিত্র।
বেসরকারি কারখানায় ইউনিয়নের দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ টাউনশিপ থানার এবিএল আবাসন এলাকায়। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ১০ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওই কারখানার ইউনিয়নের দখল নিয়ে আইএনটিটিইউসি নেতা অশোক জানা ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহার মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ওই কারখানার সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেও বিবাদ কমেনি। দিন কয়েক ধরে কারখানার গেটে কাউন্সিলরের অনুগামীরা কাজের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন। এ দিন বিকেলে ইউনিয়ন অফিসে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সামনে রাখা কয়েকটি মোটরবাইক ও স্কুটার ভাঙচুর করা হয়।
অশোকবাবুর অভিযোগ, এ দিন জনা পঁচিশ লোক তাঁর আবাসনের সামনে এসে গালিগালাজ শুরু করে। তখন তিনি আবাসনে ছিলেন না। এর পর ওই লোকজন কারখনার ইউনিয়ন অফিসে হামলা করে। সেখানে উপস্থিত ইউনিয়নের সদস্যদের উপর লাঠি, রড, তরোয়াল নিয়ে আক্রমণ করা হয়। অশোকবাবুর দাবি, “আমি ২০০০ থেকে এই কারখানায় আইএনটিটিইউসি করছি। এখন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা ইউনিয়নের দখল নিতে চাইছেন। আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না।” তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা। তাঁর দাবি, অশোক জানার নেতৃত্বে ইউনিয়নের লোকজন বাইরের লোককে টাকা নিয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ দিচ্ছে। কিন্তু এলাকার লোক কাজ পাচ্ছে না। এর প্রতিবাদেই আমরা কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিলাম। কাউন্সিলরের অভিযোগ, “এ দিন অশোক জানার নেতৃত্বেই আমাদের উপর হামলা করা হয়।”
এই সংঘর্ষের ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রকারান্তরে মেনে নিয়ে তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিছু ছেলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” পুলিশ জানিয়েছে, এক পক্ষ অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy