Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

বণ্টন সংস্থার বাড়তি বিদ্যুৎ কিনবে ঢাকা

এ রাজ্যের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ। আগামী আরও ছ’মাস এ-পার বাংলার বিদ্যুৎ কিনবে বলে নতুন চুক্তি করেছে তারা। এতে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বাড়তি ৫০০ কোটি টাকা আয় হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫১
Share: Save:

এ রাজ্যের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ। আগামী আরও ছ’মাস এ-পার বাংলার বিদ্যুৎ কিনবে বলে নতুন চুক্তি করেছে তারা। এতে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বাড়তি ৫০০ কোটি টাকা আয় হবে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী ২০১৩ থেকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদিন ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এর বাইরে তারা আরও ২৫০ মেগাওয়াট নেয় এনটিপিসি থেকে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তিন বছর ধরে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি শেষ হয় জানুয়ারিতে। নতুন চুক্তিতে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রির কথা আছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই খবরে বণ্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষ বেজায় খুশি। এক বিদ্যুৎকর্তার কথায়, ‘‘বাংলাদেশে বিদ্যুৎ-ঘাটতি রয়েছে। তাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন। আমাদেরও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিক্রির দরকার। ফলে নতুন করে ছ’মাসের চুক্তিতে লাভই হল।’’ মার্চ থেকে দু’ভাবে তাঁদের আয় বাড়বে বলে বণ্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষের আশা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মার্চ থেকে রাজ্যেও বিদ্যুতের চাহিদা বা়ড়বে। অর্থাৎ এ-পারেও বিদ্যুতের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করেও আয় বাড়বে।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পাওয়ার গ্রিডের সাবস্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করা হয়। বাংলাদেশের ভেড়ামারা সাবস্টেশনে সেই বিদ্যুৎ পৌঁছনোর পরে বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পর্ষদ। রীতিমতো দর কষাকষি করেই টেন্ডারের মাধ্যমে ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ রফতানির বরাত পেয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। গত বছরের জুলাইয়ে সেই চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশ ফের ছ’মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তিই জানুয়ারিতে শেষ হয়।

আড়াইশো মেগাওয়াটের বাইরে ভারত থেকে বাংলাদেশ আরও বিদ্যুৎ কিনতে চায়। এই নিয়ে দু’‌দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরে বণ্টন সংস্থার কর্তারা বাংলাদেশে গিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ রফতানির প্রস্তাব দেন। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে-দু’টি নতুন ইউনিট চালু হচ্ছে, সেখান থেকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠানোর কথা বলা হয় সেই প্রস্তাবে। ওই বণ্টন লাইন সাগরদিঘি থেকে বাংলাদেশের রাজশাহিতে গিয়ে পৌঁছবে। বণ্টন সংস্থার কর্তারা জানান, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ তাদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে জানাবে। ইউনিট-পিছু বিদ্যুতের দাম কত হবে, কোন পথে তা আসবে— বাংলাদেশ এগুলো খতিয়ে দেখছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Electricity PDCL WBSEB
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE