ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের গুলিতে বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলেই আশা করছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শনিবার ঢাকা থেকে ফোনে তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন। একটা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে এমন ঘটে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বছরই শেষের দিকে দিল্লিতে বিজিবি আর বিএসএফের মধ্যে ডিজি স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা। মন্ত্রীর আশা, এই ঘটনায় তাতে কোনও নড়চড় হবে না। ভবিষ্যতে যাতে এমন ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনা আর না ঘটে, তা-ও দেখা হবে বলে জানান তিনি। সেই প্রসঙ্গেই আসাদুজ্জামান যোগ করেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার স্বার্থে দরকার হলে আমি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলব।’’
প্রণব মণ্ডল নামে যে ভারতীয় মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জলসীমায় চলে যাওয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁকেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে আসাদুজ্জামান জানান। ফ্ল্যাগ মিটিংয়েই এই জাতীয় সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। ফ্ল্যাগ মিটিংয়েই মিটে যাবে সমস্যা, এমনটাই তো ভেবেছিল প্রণবের পরিবারও। শিরচর গ্রামের এক ফালি ঘরে, তাই ভাত আর কুচো মাছের ঝোল রেখে দিয়েছিলেন স্ত্রী রেখা। কিন্তু শুক্রবার রাতেই খবর এসেছিল প্রণব মণ্ডল ফিরছেন না। বিজিবি তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে কখনও কাকমারির বিএসএফ ক্যাম্প কখনও স্থানীয় থানায় হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন রেখা। প্রণবের বৃদ্ধা মা, শূন্য উঠোনে বসে নাগাড়ে বলে চলেছেন, ‘‘ছেলেটা ঘরে না এলে উনুনে হাঁড়ি চড়বে কী করে গো!’’ রেখা মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘খুব আশা ছিল কালই ফিরে আসবে। এখন ভয় লাগছে!’’
ধীবর–প্রধান শিরচর গ্রামের মানুষজনের দিনযাপনও এখন প্রশ্নের মুখে। পদ্মায় মাছ ধরার উপরে দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। রুজির উপায় খুঁজতে অনেকেই অন্য পেশায় পা বাড়ানোর কথা ভাবতে শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy