বিস্ফোরক দাবি আনারুলের। নিজস্ব চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে তাঁর নামে উঠেছে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। আনারুলের বিরুদ্ধে ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যার অর্থ, অপরাধে সাহায্য এবং প্ররোচনা দেওয়া। জেল হেফাজতে যাওয়ার আগে সেই আনারুল হুমকি দিলেন, সময় এলে তিনি ‘সবার’ নাম বলবেন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে আনারুলের মন্তব্য, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এর মধ্যে চক্রান্ত রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সময় এলে সবার নাম বলব।’’
বৃহস্পতিবার রামপুরহাট জেল থেকে সিউড়ি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় আনারুলকে। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিট জমা দেওয়ার পরই আনারুলের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং ঘটনার নেপথ্যে প্রভাবশালীরা জড়িত বলে দাবি করেছিলেন আনারুল। অন্য দিকে, সিবিআই দাবি করেছে, ভাদু শেখ খুনের রাতে বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে যখন আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখন গ্রামবাসীরা আনারুলকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশে খবর দিতেও বলেন। কিন্তু আনারুল তাতে গুরুত্বই দেননি। তদন্তকারীদের এ-ও দাবি, আনারুলের এই ভূমিকার জন্যই বগটুইয়ে এত ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। আনারুল সময়মতো পুলিশের দ্বারস্থ হলে বগটুইয়ের ঘটনা ঠেকানো যেত বলে দাবি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশেরও।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান ভাদু শেখ খুনের পর একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। এর পর ওই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তদন্তভার নেওয়ার প্রায় তিন মাসের মধ্যে গত সোমবার ভাদু-খুন মামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মুখবন্ধ খামে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy