প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। —ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে এনডিএ শরিকদের বৈঠকে পাহাড় থেকে ডাকা হয়েছিল জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিংকে। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চে দেখা মিলল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপার। মঞ্চ থেকে বক্তব্য রেখে অনীত জানিয়ে দিলেন, বিজেপি-বিরোধী জোটে তাঁরা পুরোদস্তুর শামিল। গত বছরও অনীতকে তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কলকাতায় ডেকেছিলেন। সে বার জিটিএ ভোট ছিল পাহাড়ে। এ বার আবহ আগামী লোকসভা ভোটের। ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) প্রধান অনীত বলেন, ‘‘২০০৯-এ পাহাড়ে লোকসভার একটি আসন জিতে বাংলায় বিজেপির উত্থান শুরু হয়। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে আমরা পাহাড়ে বিজেপিকে হারিয়েছি। গেরুয়া শিবিরের পুরো হার ২০২৪ সালে সম্পূর্ণ হবে।’’
দ্বিস্তরীয় (পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি) পঞ্চায়েত ভোটে পাহাড়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ছিল এক দিকে। অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘যৌথ গোর্খা মঞ্চে’ ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং, হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড, জিএনএলএফের মন ঘিসিংরা। পাহাড়ের রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, অনীতের দল কার্যত একাই পাহাড়ে ‘মহাজোট’-কে কাবু করেছে। অনীতকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এনে মমতা পাহাড়ে বিজেপি-বিরোধী লড়াইকে শক্তিশালী করলেন। অনীতের বক্তব্য, ‘‘২০০৯ থেকে পাহাড় বিজেপির সঙ্গে। পর পর তিন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু ওরা মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। তাই ২০১৭ সাল থেকে আমরা রাজনীতির পথ বদল করছি। শান্তি থেকে উন্নয়ন— পাহাড়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, তা করেছেন।’’
ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী ২৬টি বিরোধী দলের তৈরি ‘ইন্ডিয়া’র প্রচার পাহাড়ে শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে থেকে সেই প্রচারে শামিল হয়েছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অনীত বলেছেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোর্খাদের আত্মাভিমানে আঘাত করেছে। ২০২৪-এ গোর্খারা তার হিসাব ব্যালটে বিজেপিকে বোঝাবেন। আমরা সে পথ তৈরি করব।’’ বিজেপির পাহাড়ের এক নেতার অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘অনীতেরা পাহাড়ে তৃণমূলের ‘বি টিম’ হিসাবেই কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy