মৃত আনিস খানের বাবা সালেম খান। ফাইল চিত্র ।
আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে এনে নতুন করে ময়নাতদন্ত করতে চাইল সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল)। অনুমতি দিল না পরিবার। আনিসের বাবা জানিয়েছেন, নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্য তিনি তাঁর ছেলের দেহ সিটের হাতে তুলে দেবেন না। সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নিলে তবেই তিনি আনিসের মৃতদেহে নতুন করে ময়নাতদন্তের অনুমতি দেবেন। এই বিষয়ে তিনি সিটের সদস্যদের কোনও সাহায্য করবেন না বলেও বুধবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন আনিসের বাবা। প্রয়োজনে আবার ময়না তদন্ত করতে হলে তিনি আদালতের কাছে থেকে অনুমতি চেয়ে করাবেন বলেও তিনি এই দিন জানান।
বুধবার সকালে আবার একবার আনিসের বাড়িতে পৌঁছন সিটের সদস্যরা। তাঁরা নতুন করে আনিসের দেহের ময়নাতদন্ত করতে চান। কিন্তু সাফ নাকচ কর দেন আনিসের বাবা। এই দিন সকালে সিট সদস্যদের সঙ্গে আনিসের বাড়িতে পৌঁছন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটও।
একবার ময়নাতদন্তের পর নতুন করে আবার কেন ময়নাতদন্ত? তাহলে কি পুরোনো রিপোর্টে কোনও অসঙ্গতি ছিল? বুঝতে পেরেই কি তড়িঘড়ি আবার ময়নাতদন্ত করতে চাইছেন সিটের সদস্যরা। একাধিক প্রশ্নই উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে।
প্রসঙ্গত, আনিসের মৃত্যুর চার দিন পরেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। পাশাপাশি ক্রমশই জটিল হচ্ছে আনিস মৃত্যু নিয়ে রহস্যের বুনট। মঙ্গলবার রাতে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁকে ফোন করার অভিযোগও করেন আনিসের দাদা সাবির খান। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে পিছু না হঠলে পুরো পরিবারকে ‘দুনিয়া থেকে সরিয়ে’ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রাত ১ টা ৪ মিনিটে একটি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে এই হুমকি ফোনটি আসে বলে জানান সাবির। এই হুমকি ফোন পাওয়ায় তাঁদের পরিবার যথেষ্ট আতঙ্কিত বলেও সাবির জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও ‘তদন্তে স্বচ্ছতার স্বার্থে’ মঙ্গলবার সকালে সাসপেন্ড করা হয় হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে। পাশাপাশি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক জন হোমগার্ডকে। এই তিন জনেরই সে রাতে ডিউটি ছিল। তিন জনেই আমতা থানা এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিলেন। তিন জনই শুক্রবার রাতে থানার খাতায় সই করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। ওই রাতে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায় বাড়ির তিন তলার ‘ছাদ থেকে পড়ে’ মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিসের। তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, পুলিশের পোশাকে চার জন সে রাতে বাড়িতে ঢোকেন। আনিসকে তাঁরাই ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy