২ অগস্ট, ১৯৯০ সালের আনন্দবাজারে সেই খবর।
বাস ভাড়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের আন্দোলনে গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে ২৭ বছর আগে পুলিশের করা মামলার নিষ্পত্তি হল মঙ্গলবার। ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল শাসিত হাওড়া পুরসভার ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারী-সহ আরও ১১ জন। এর মধ্যে ৫ জনের কোনও হদিস মেলেনি। বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে মামলা চলার পরে এ দিন হাওড়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক থার্ড কোর্টের বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় সকলকে বেকসুর খালাস করে দেন। বিচারক জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ পুলিশ জোগাড় করতে পারেনি। পাশাপাশি ওই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বাম আমলে বাসভাড়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৯৯০ সালের ১ আগস্ট হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। আন্দোলনকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি ও গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেত্রী বিমলা দে-র। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ব্রিজ চত্বর। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ইট বৃষ্টির পাশাপাশি বাসে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পরে গোলাবাড়ি থানায় মিনতিদেবী ও আরও কয়েক জন কংগ্রেস নেতা-সহ সাধারণ পথচারীদের নামে বাসে অগ্নি সংযোগ, সরকারি কাজে বাধা এবং ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ-সহ ১৪টি ধারায় মামলা দায়ের হয়। ২০০৩ সালে শুরু হয় বিচার পর্ব। এ দিন সেই মামলার রায় দেন বিচারক।
এ দিন রায়দানকে কেন্দ্র করে হাওড়া ফাস্ট ট্রাক থার্ড কোর্টের সামনে ভিড় জমে যায়। অভিযুক্তেরা সকলেই আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সমীর রায়চৌধুরী জানান, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা করেছিল পুলিশ। বিচারকও এ দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন। পাশাপাশি পরিকল্পিত ভাবে গুলি করে খুনের ঘটনার কোনও মামলা করতে না দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন সরকারি আইনজীবী রবীন কর্মকার। বেকসুর খালাস হওয়ার পর মিনতিদেবী জানান, রায়ে খুশি হলেও বিমলা দেবীর খুনে অভিযুক্তেরা সাজা না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy