—ফাইল চিত্র
যে দু’টি সম্ভাব্য তারিখের কোনও একটিতে অমর্ত্য সেন ও উপাচার্যের কথোপকথন হয়েছিল বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেছিল বিশ্বভারতী, সেই দু’দিনই তিনি ভারতে ছিলেন না বলে জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে লেখা সূত্রে প্রাপ্ত একটি ই-মেলে দেখা যাচ্ছে, ওই দুই দিন তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন, তা স্পষ্ট করেছেন অমর্ত্যবাবু।
এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
গত ৯ ডিসেম্বর অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ভিবিইউএফএ-র অভিযোগ, ওই বৈঠকে উপাচার্য দাবি করেন, অমর্ত্য সেন তাঁকে ফোন করে নিজেকে ‘ভারতরত্ন অমর্ত্য সেন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ও তাঁর ‘প্রতীচী’ বাড়ির সামনে থেকে হকার উচ্ছেদের বিরোধিতা করেন। অমর্ত্য সেন উপাচার্যের দাবি অস্বীকার করলে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২ জুন অথবা ১৪ জুন উপাচার্য দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি যখন বিশ্বভারতী ফিরছিলেন, তখন জনৈক অরবিন্দ তাঁকে ফোন করে বলেন, উপাচার্যের বিশ্বভারতী ফেরার পথে অমর্ত্য সেন (ভারতরত্ন) তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান।
২৯ ডিসেম্বর অমর্ত্য সেন ভিবিইউএফএ-র সভাপতিকে ই-মেল করে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২ জুন তিনি ফ্রান্সের প্যারিসে একটি মিটিংয়ে এবং ১৪ জুন আমেরিকার কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস-এ নিজের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৩ জুলাই তিনি ভারতে আসেন। দিল্লি ও কলকাতা ঘুরে শান্তিনিকেতনে আসেন। ই-মেলে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে জ্ঞানত তাঁর এক বারই কথা হয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রণব বর্ধনের একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথোপকথন কিংবা তাঁর নিজেকে ‘ভারতরত্ন’ বলে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ ‘সত্যি নয়’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy