অলোক বর্মা
সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে ২৩ অক্টোবর রাতে আচমকা ছুটিতে পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঘটনাচক্রে, তার আগের দিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিবিআইয়ের জন্য আরও আইপিএস অফিসার চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। বর্মার সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে। সিবিআইয়ের একাংশের বক্তব্য, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সব রাজ্য থেকেই সিবিআইয়ে কাজ করার জন্য অফিসার চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন বর্মা। নবান্নের চিঠিটি ঘটনাচক্রে তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর আগের দিন লেখা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে চলতি ডামাডোলের মধ্যে নবান্ন অবশ্য অফিসার পাঠাবে কি না, এখনও ঠিক করেনি।
তবে আইপিএস অফিসারদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থায় কাজ করতে উৎসাহী। তাঁদের নিজেদের পেশাদার জীবনের স্বার্থেই সিবিআই, সিআরপি, সিআইএসএফ, এসএসবি বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতে আগ্রহী থাকেন। যেমন এখন কাশ্মীরের সিআরপিএফের অপারেশনের দায়িত্বে রয়েছেন এক জন বেঙ্গল ক্যাডারের আইপিএস। তাঁদের একাংশের বরাবরের অভিযোগ, রাজ্যই তাঁদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে যেতে দেয় না। যদি বর্মার চিঠি পেয়ে নবান্ন অবস্থান বদলায়, তা তাঁদের কাছে খুশির খবর।
সিবিআই সূত্রের খবর, গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মামলায় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের ৫৩৩টি শূন্য পদ তিন মাসের মধ্যে পূরণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরে বর্মা সব রাজ্যকে আরও বেশি অফিসার পাঠাতে বলেছিলেন। ছুটিতে যাওয়া সিবিআই প্রধান মুখ্যসচিবকে লিখেছেন, ‘সিবিআই চলে মূলত বিভিন্ন রাজ্য এবং
কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী থেকে আসা পুলিশ অফিসারদের নিয়েই। তিন মাসের মধ্যে ইনস্পেক্টর, ডেপুটি ইনস্পেক্টর, পুলিশ সুপার, ডিআইজি পদ মর্যাদার বহু অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সেই কারণে, আপনার রাজ্য থেকে আরও আইপিএস এবং আইএফএস (ফরেস্ট সার্ভিস) অফিসার পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’ শুধু তাই নয়, দিন কয়েকের মধ্যেই যে সব অফিসার দিল্লিতে যোগ দিতে পারবেন, তাঁদের নাম পাঠাতেও অনুরোধ করেছেন বর্মা।
বর্মার এই চিঠি নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে নানা চর্চা চলছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, ১৫ অক্টোবর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন বর্মা। ২১ অক্টোবর ‘র’ এর প্রধান অনিল ধাসমানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের দাবি, অনিল অভিযোগ করেছিলেন, যে ভাবে সিবিআই তাদের দুবাইয়ের একাধিক এজেন্ট এবং অফিসারদের নাম প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে, তাতে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। সিবিআইয়ের একাংশের দাবি, সে দিন বর্মাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, তার পর দিন ২২ অক্টোবর, মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে লোকবল বাড়াতে সক্রিয় হয়েছিলেন বর্মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy