পৃথক রাজ্যের দাবিতে শিলিগুড়িতে মোর্চা সমর্থকদের জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র।
সুরাহা খুঁজতে পাহাড়ের সবদলগুলি বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু, তাতে অচলাবস্থা তো কাটলই না, বরং আরও জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় মনোভাবই বজায় রাখল মোর্চা। পাশাপাশি, আগামী ২২ জুন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকও বয়কট করল তারা।
মঙ্গলবার দার্জিলিঙের জিমখানা ক্লাবে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন লিগ (জিএনএলএফ), জন আন্দোলন পার্টি (জাপ)-সহ মোট ১৪টি রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল। জিটিএ বাতিলের ঘোষণা-সহ বৈঠকে মোট পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্য দিকে, পৃথক রাজ্যের দাবিতে শিলিগুড়িতে মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন
হেঁশেলে টান, মোর্চার সর্বদলে নজর পাহাড়বাসীর
গত বৃহস্পতিবার থেকে সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ডাকে মোর্চা। এ দিনের বৈঠক ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন পাহাড়বাসী। কারণ, একটানা বন্ধের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছিলেন সাধারণ মানুষ। দোকানপাট বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে বন্ধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে এ দিন কোনও কথা বলেননি মোর্চা নেতারা।
এর আগে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দীপককুমার প্রধান জানিয়েছিলেন, সর্বদল বৈঠকে আলোচনার পরে আন্দোলনের পরের পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। এ দিন সেই আন্দোলনের রূপরেখাই ঠিক করলেন তাঁরা। বৈঠকে স্থির হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করবে মোর্চার প্রতিনিধি দল। পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে অল ইন্ডিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি নামে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে এ দিন।
পাহাড়ে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে বরাবরই সরব হয়েছেন মোর্চা নেতারা। এ দিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মানবাধিকার রক্ষা করার পাশাপাশি পাহাড় থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুললেন মোর্চার সমর্থকেরা। দেখুন ভিডিও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy