ফাইল চিত্র।
তছরুপে অভিযুক্ত অন্য কয়েকটি লগ্নি সংস্থার মতো টাকা ফেরতের রাস্তা ধরছে অ্যালকেমিস্টও। বেসরকারি ওই অর্থ লগ্নি সংস্থা মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, তারা সব আমানতকারীরই ‘পুরো’ টাকা ফেরত দেবে। কত দিনের মধ্যে এবং কোন পদ্ধতিতে তা ফেরত দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করার জন্য তারা কোর্টের কাছে তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে।
‘পুরো’ টাকা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে তা-ও ব্যাখ্যা করেন অ্যালকেমিস্টের আইনজীবী মেঘাজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, যে-সব আমানতকারীর অ্যাকাউন্ট ‘ম্যাচিওর’ হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ টাকা রাখার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাঁরা আমানত খোলার সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মূল ও সুদ মিলিয়ে পুরো টাকাই ফেরত পাবেন। আর যে-সব আমানতকারী অ্যাকাউন্ট ‘ম্যাচিওর’ হওয়ার আগেই অর্থাৎ যত দিন টাকা রাখার কথা, সেই সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার আগেই গচ্ছিত অর্থ ফেরত পেতে চান, তাঁরা এ-পর্যন্ত জমা দেওয়া টাকা (‘প্রিন্সিপাল মানি’) ফেরত পাবেন।
কম সময়ে কয়েক গুণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বেসরকারি অনেক লগ্নি সংস্থাই বাজার থেকে প্রচুর টাকা তুলেছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। অনেক আমানতকারীরা টাকা ফেরত না-পেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই সব মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে। আমানতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, আমানতকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন আদালতে ৬৫০ কোটি
টাকার হিসেব দাখিল করা হয়। ৩৫টি বাক্সে ভরা আমানতকারীদের আবেদনপত্র এবং আমানতের নথিপত্র পেশ করেন ওই সংগঠনের কর্তারা। আদালতে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত এই পরিমাণ আমানতেরই হিসেব মিলেছে।
আমানতকারীদের কৌঁসুলির বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা অ্যালকেমিস্টের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকা ফেরতের ব্যাপারে ওই লগ্নি সংস্থার বক্তব্য কী? সংস্থার আইনজীবী তখনই জানান, পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে পর্যায়ক্রমে। যাঁদের আমানত ‘ম্যাচিওর’ হয়েছে, তাঁরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টাকা ফেরত পাবেন আগে। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের সেই কমিটির মাধ্যমে অ্যালকেমিস্টও টাকা ফেরত দিতে পারে।
অ্যালকেমিস্টের কৌঁসুলি জানান, তাঁর মক্কেলরা বিচারপতি অনিরুদ্ধে বসুর ডিভিশন বেঞ্চের মাধ্যমেই টাকা ফেরত দিতে চান। কবে কী ভাবে তা ফেরত দেওয়া হবে, তা ঠিক করার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। এ দিন সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy