বিজেপি-র সদর দফতরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরিন্দম ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
নোটবন্দির প্রতিবাদে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য। সে সময় বিজেপি দফতরে হামলার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এ বার বিজেপি-তে তাঁর যোগদান ঘিরে দলের অন্দরে শুরু হল তুলকালাম।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ অরিন্দমকে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, গত ৪ বছরে অরিন্দমের নেতৃত্বে শান্তিপুরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাধিক বার হামলা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি- র ভোট প্রচার করতে গিয়ে খুন হন হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বুথ সভাপতি বিপ্লব শিকদার।
এত কিছুর পরও ‘অত্যাচারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত’ এই বিধায়ককে কেন দলে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অরিন্দম ভট্টাচার্যকে বহিষ্কার না করলে দল থেকে গণ ইস্তফা দেবেন শান্তিপুরের বিজেপির নেতা-কর্মীরা। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ‘অত্য়াচারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতাদের দলে নেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিজেপি-র পুরনো নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে অশান্তি হয়েছে বর্ধমান এবং আসানসোলে।
বুধবার দিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দেন অরিন্দম। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে শান্তিপুরে জিতেছিলেন অরিন্দম। কিন্তু বছরখানেকের মধ্যেই যোগ দেন তৃণমূলে। যদিও বিধানসভার কাগজেকলমে এখনও তিনি ‘কংগ্রেস বিধায়ক’ হিসেবেই চিহ্নিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy