বেপরোয়া: পুলিশের সামনেই রেললাইন পেরোচ্ছেন যাত্রীরা। রবিবার, বেলুড় স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
রেললাইন পারাপার করা আইনত অপরাধ। রেলের তরফে বারবার এই প্রচার করা হলেও অধিকাংশ যাত্রীই তা মেনে না চলায় ঘটছে দুর্ঘটনা। শনিবার পূর্ব রেলের হাওড়া শাখার বালি ও বেলানগর স্টেশনে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যুতে ফের সেটাই প্রমাণিত হল।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় কর্ড শাখার বেলানগর স্টেশনে লাইন পার হতে গিয়ে লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির। রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ওই রাতেই ৯টা ১০ মিনিট নাগাদ বালি স্টেশনে ২ নম্বর লাইন থেকে এক নম্বর লাইন পেরোনোর সময়ে ডাউন ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। পরে তাঁর পরিচয় জানা যায়।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, মোহনলাল সিঙ্ঘানিয়া (৬০) নামে ওই বৃদ্ধ হাওড়া থেকে ট্রেনে বালিতে এসে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামেন। এর পরে তিনি লাইন পেরোতে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সে সময়ে এক নম্বর লাইন দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে আসছিল ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। আচমকা ট্রেন সামনে চলে আসায় হকচকিয়ে যান মোহনলালবাবু। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর দেহটি বেশ খানিকটা দূরে গিয়ে পড়ে।
বেলুড় জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রথমে পরিচয় জানা না গেলেও পরে বৃদ্ধের পকেটে থাকা মাসিক টিকিট ও জামায় দর্জির স্টিকার দেখে তাঁর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, বালি স্টেশনের পাশেই বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মোহনলালবাবুর বাড়ি। তিনি বড়বাজারে একটি দোকানে কাজ করতেন। বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে ফ্ল্যাটে থাকতেন। ওই বৃদ্ধের বড় ছেলে সজল সিঙ্ঘানিয়া রবিবার বলেন, ‘‘বাবা রোজ রাতেই ফিরতেন। পায়ের সমস্যা থাকায় ওভারব্রিজে উঠতে পারতেন না।’’
দুর্ঘটনার পরে রবিবার সকাল থেকে বালি ও বেলুড় স্টেশনে হ্যান্ডমাইক নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করে বেলুড় জিআরপি। কিন্তু এ দিনও দেখা
গিয়েছে, পুলিশের সামনেই অনেকে নিয়ম ভাঙছেন। তবে ধরপাকড় শুরু করতেই যাত্রীরা ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন। যদিও রেলপুলিশের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, যাত্রীরা নিজে থেকে সচেতন না হলে শুধু ধরপাকড় বা জরিমানা করে ঝুঁকির পারাপার বন্ধ করা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy