—ফাইল চিত্র।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আনা হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তে বুধবার অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এতে রাজ্যে পঞ্চায়েতের ৫০ হাজার কর্মী উপকৃত হবেন বলেই সরকারি সূত্রে খবর।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট কর্মীর সংখ্যা এখন প্রায় ৩০ হাজার। এ ছাড়া, পেনশন প্রাপক আছেন প্রায় ২০ হাজার। এই ৫০ হাজার জনকে স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পঞ্চায়েত কর্মীদের সংগঠন। এর পরেই গত এপ্রিল মাসে নবান্ন থেকে ওই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’’ সংগঠনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে।
বুধবার মন্ত্রিসভায় আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চা বাগানের শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চা সুন্দরী প্রকল্পে এ বার থেকে আর রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরি করে দেবে না। তার বদলে প্রাপকদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে বাড়ি তৈরির জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
এ ছাড়া পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়রদের পদোন্নতি ও বদলি সংক্রান্ত নতুন নীতিতে পরিবর্তনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এত দিন জেলা পরিষদের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়র, এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র এবং অধস্তন ইঞ্জিনিয়ারেরা একই জেলায় একই পদে কাজ করতেন। এ বার সেই নীতিতে বদল আনা হবে। তাঁদের অন্য জেলায় বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশিই তাঁদের কাজেরও নিয়মিত মূল্যায়ন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy