—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জম্মু ও কাশ্মীরের গত বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল মেহবুবা মুফতির পিডিপি। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকারও গঠন করে তারা। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হন মেহবুবার পিতা মুফতি মহম্মদ সইদ। পরে তাঁর মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন কন্যা মেহবুবা। গত লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়ে একটি আসনেও জেতেনি পিডিপি। অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেরে যান মেহবুবা। বিধানসভা ভোটের প্রাথমিক ফল বলছে, মাত্র ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে মুফতির দল। তবে কোনও দল বা জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা না পেলে ‘কিংমেকার’ হয়ে উঠতে পারে পিডিপি।
ক্রমশ আসন বৃদ্ধি পাচ্ছে এনসি-কংগ্রেস জোটের। তবে খুব পিছিয়ে নেই বিজেপিও। আপাতত এনসি-কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৪৫টি আসনে। এর মধ্যে এনসি এগিয়ে ৩৬টি আসনে আর কংগ্রেস এগিয়ে ১৩টি আসনে। অন্য দিকে, বিজেপি এগিয়ে ২৭টি আসনে।
ভোটগণনা চলছে জম্মু ও কাশ্মীরে। প্রাথমিক গণনায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এনসি-কংগ্রেস জোট। একটু পিছনে বিজেপি। মেহবুবার দল পিডিপি এগিয়ে তিনটি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে দু’টি আসনে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর প্রথম বিধানসভা ভোট হল সেখানে। ২০১৯ সালের অগস্টে অধ্যাদেশ জারি করে কেন্দ্র কাশ্মীরের অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে। রাজ্যের তকমা হারায় কাশ্মীর। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে হয় দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। তার পর দীর্ঘ দিন সেখানে নির্বাচিত সরকার ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন করানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের ভূমিকা কী হবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রিসভার স্বাধীনতা কতটা থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০১৪ সালে শেষ বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। আসন পুনর্বিন্যাসের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার মোট আসন ছিল ৮৭টি। মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) পেয়েছিল ২৮টি আসন। বিজেপি জিতেছিল ২৫টি আসনে। ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ১৫ এবং ১২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। পিপলস কনফারেন্স এবং সিপিএম যথাক্রমে ২টি এবং একটি আসনে জয়ী হয়েছিল।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করার পর জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়াই মূলত ত্রিমুখী— ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট, পিডিপি এবং বিজেপির মধ্যে। এ ছাড়া বারামুলার নির্দল সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের গড়া নতুন দল ‘আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টি’ এবং সাজ্জাদ লোনের পিপলস কনফারেন্স এ বার কাশ্মীর উপত্যকার কয়েকটি আসনে ভাল ফল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘ ১০ বছর পরে কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। মোট ৯০টি আসনের মধ্যে ২৪টিতে ভোট হয়েছিল প্রথম দফায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর। ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ২৬টিতে। ১ অক্টোবর বাকি ৪০টিতে।
সকাল ৮টায় ভোটগণনা শুরু হল জম্মু ও কাশ্মীরে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথমে পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হবে।
মঙ্গলবার হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের গণনা। ঘটনাচক্রে, দুই বিধানসভাতেই নির্বাচিত বিধায়ক সংখ্যা হবে ৯০। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ৪৬। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল সরকার গঠনের আগেই পাঁচ অনির্বাচিত বিধায়ককে মনোনীত করলে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৯।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy