শশী পাঁজা। ফাইল চিত্র।
এখন পরিবেশগত ছাড়পত্রের অপেক্ষা। তা পেলেই তাজপুরে পরিকাঠামো-সহ বন্দরের মূল কাজ শুরু করতে সমস্যা থাকবে না বলে আজ জানালেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।
সম্প্রতি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাজপুর বন্দর গড়ার প্রশ্নে আদানি শিল্প গোষ্ঠীকে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ১২ অক্টোবর সরকারি বিজয়া সম্মেলনে ওই গোষ্ঠীর কর্ণধার কর্ণ আদানির হাতে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কবে চূড়ান্ত চুক্তি সাক্ষরিত হয়ে কাজ শুরু হবে ওই বন্দরের। আজ দিল্লিতে ৪১তম আন্তর্জাতিক শিল্প মেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সংস্থার হাতে লেটার অব ইনটেন্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। বল এখন ওদের কোর্টে। সংস্থা এখন পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার প্রশ্নে কাজ করছে। সেটির অগ্রগতি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।’’ পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপে এ নিয়ে চুক্তি হবে, জানান শশী। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে যাবে। তার জন্য যতটুকু সময় লাগার তা লাগবেই।’’
রাজ্য সরকারের দাবি, তাজপুর বন্দর তৈরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিযোগ হতে চলেছে। শশী পাঁজা বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পের ফলে রাজ্যে সরাসরি প্রায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় এক লক্ষ।’’ গোটা প্রকল্পটি রাজ্য সরকার একা করছে এবং এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সরাসরি কোনও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
তাজপুর ছাড়াও বীরভূম জেলার ডেউচা পাঁচামি কয়লা ব্লক ঘিরে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আগেই দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কয়লা মজুতের পরিমাণের হিসাবে ওই খনিটি ভারত তথা এশিয়ার বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ভান্ডার। তবে ওই প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণজনিত সমস্যা রয়েছে। তা মানবিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়েছেন শশী। বলেন, কেবল কোনও পরিবারের পুনর্বাসন নয়, হাসপাতাল, স্কুলবাড়ি সবই প্রয়োজনে নতুন করে গড়বে রাজ্য সরকার। তিনি জানান, প্রকল্প-এলাকায় কিছু জায়গায় সমীক্ষার জন্য খনন শুরু হয়েছে। আগামী বাজেট অধিবেশনে এ সংক্রান্ত আইন হবে বলে জানা গিয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে সব সরকারি পদে সাধারণ বিভাগে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন রূাপন্তরকামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy