বীরভূম জেলা তৃণমূলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
‘গ্রুপবাজি’ চলবে না বলে আসানসোল আদালতের এজলাস থেকেই সম্প্রতি বীরভূম জেলা তৃণমূলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনাচক্রে এর পরেই সাংগঠনিক বদল আনা হল দলে। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ পেলেন জেলায় দলের শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্ব। দুই সাংসদ-সহ জেলার ৮ জন শীর্ষনেতাকে নিয়ে তৈরি হল সমন্বয় কমিটিও। ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। এই কমিটিই আপাতত দল পরিচালনা করবে বলে সূত্রের খবর।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু, জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত এখনও জেলবন্দি। দলের ‘অভিভাবক’ না-থাকায় অনেক কর্মী মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। তার উপরে অনেকে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। আর এতেই দলের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নষ্ট হচ্ছিল। তাঁর অনুপস্থিতে জেলায় যে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না, সে আঁচ সম্ভবত পেয়েছেন অনুব্রত নিজেও। হয়তো সে কারণেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সারা জীবন আমি জেলে থাকব না।’’ তাঁর নির্দেশ, দলে গ্রুপবাজি চলবে না। সকলকে এক হয়ে চলতে হবে। না হলে ফেরার পর সকলকে ছেঁটে দেবেন।
সেই বার্তা পেয়েই রবিবার বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে ৮ জনের সমন্বয়কারী বা কোর কমিটি গঠনের পাশাপাশি লাভপুরের বিধায়ককে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা দলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোর কমিটির মধ্যে থেকে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লাভপুরে বিধায়ককে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” এই বিষয়ে অভিজিৎ সিংহ বলেন, “কোর কমিটির নেতৃত্বে এখন দল পরিচালনা হবে। সেখানে কোর কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার জন্য। আমি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই শৃঙ্খলার ব্যাপারটি দেখ।’’ তিনি জানান, দলের কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy