—ফাইল চিত্র।
আবার মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল। এ বার চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে। তার জেরে সোমবার ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ)-এ বিপর্যস্ত হয় মেট্রো পরিষেবা। জানা গিয়েছে, বেলা ১২ টার পর চাঁদনি স্টেশনের আপ লাইনে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের সামনে আচমকাই লাফ মারেন এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ময়দান থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত আপ এবং ডাউন— দুই লাইনেই পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটে। পর পর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। দু’ঘণ্টার বেশি সময় পর স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১২টা ১২ মিনিট নাগাদ আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে দ্রুত স্টেশন খালি করে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার বলেন, “চাঁদনি চক স্টেশনে এক জন লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আপাতত কবি সুভাষ ও ময়দান এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্কের মধ্যে মেট্রো চলাচল করছে।” মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ২টো ২৪ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
সপ্তাহের প্রথম দিন মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। মেট্রো না-পাওয়ায় স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেন ময়দানে খালি করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, কবি সুভাষগামী মেট্রো গিরিশ পার্ক পর্যন্ত চলছে। অনেকেই মেট্রো ছেড়ে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথমে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ার কারণ জানানো হয়নি। অনেক ক্ষণ পর মেট্রো কর্তৃপক্ষ পরিষেবা বন্ধের কথা জানান। বার বার মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।
দুর্গাপুজোর পর পরই এই চাঁদনি চকেই মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক মধ্যবয়সি মহিলা। সেই ঘটনায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যাহত ছিল পরিষেবা। সপ্তাহ দুয়েক আগে শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনেও একই ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। তার আগে গত ১৪ অক্টোবর শোভাবাজার স্টেশনে মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক জন। ওই ঘটনার জন্য ৩০ মিনিট পরিষেবা ব্যাহত হয়। গত মাসের ৮ তারিখেও মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। শোভাবাজার স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে কালীঘাট স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে পাকাপোক্ত ভাবে কিছু গার্ডরেল বসিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, দু’টি গার্ডরেলের মধ্যে যা ব্যবধান, তাতে কর্তৃপক্ষের আসল উদ্দেশ্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়াও শুধুমাত্র কালীঘাট স্টেশনে একটি দিকে গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা আটকানোর পরিকল্পনা অবাস্তব বলেও মত যাত্রীদের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy