কুয়াশাচ্ছন্ন রানওয়েতে বিমান। —ফাইল চিত্র।
ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চত্বর। তার জেরে সোমবার প্রভাব পড়েছে বিমান ওঠানামায়। ঘন কুয়াশার কারণে সোমবার সকালে দু’ঘণ্টায় মোট ৬০টি বিমানের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। দমদম থেকে এ দিন ৩০টি বিমান দেরিতে রওনা দিয়েছে। অবতরণেও দেরি হয়েছে ৩০টি বিমানের। সকাল ৯টার পর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিষেবা আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে।
উত্তর ২৪ পরগনায় সোমবার ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। জেলার কোনও কোনও অঞ্চলে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারেও নেমে আসে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে দৃশ্যমানতা কমে যায় বিমানবন্দরেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে সকাল ৭টা থেকে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (লো ভিজ়িবিলিটি প্রসিডিয়োর বা এলভিপি) করা হয়। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রভাতরঞ্জন বড়ুয়া জানান, সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৯ টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করেনি। ৩০টি বিমানের উড়ানের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবতরণও পিছিয়ে দেওয়া হয় ৩০টি বিমানের। এ ছাড়া কলকাতাগামী পাঁচটি বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে অন্য বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কুয়াশার কারণে বিমান পরিষেবা বিঘ্ন হওয়ায় যাত্রীদেরও দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বিমানবন্দরে। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের দাবি, অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে বিমান পরিষেবা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দু’ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকার পর সকাল ৯টা ৪মিনিটে প্রথম বিমান অবতরণ করে দমদম বিমানবন্দরে। দুবাই থেকে আসছিল ওই বিমানটি। বস্তুত, কুয়াশার কারণে সোমবার শুধু বিমান পরিষেবাই বিঘ্নিত হয়নি, রেল পরিবহণের উপরেও প্রভাব পড়েছে। সকালের দিকের বেশ কিছু ট্রেন নির্দিষ্ট সময়সূচির থেকে দেরিতে চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy