লক্ষ্মী অগ্রবাল
দেশ জুড়ে অবাধে অ্যাসিড বিক্রির বিপদের দিকে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। এ বার #স্টপসেলঅ্যাসিড-এর ডাক দিয়ে এ রাজ্যে পা রাখলেন লক্ষ্মী অগ্রবাল।
গোটা দেশেই অ্যাসিড-হানার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিশিষ্ট মুখ দিল্লির ২৮ বছরের তরুণী লক্ষ্মী। অ্যাসিড বিক্রি বন্ধের ডাক দিয়ে দেশেবিদেশের হাজার কুড়ি স্বেচ্ছাসেবীকে পাশে পেয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দিল্লি, চণ্ডীগড়, বুন্দেলখণ্ডের অনেকে পথে নেমেছেন। কলকাতার কিছু সমাজকর্মীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আজ, সোমবার বাংলা-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে #স্টপসেলঅ্যাসিড-এর আওয়াজ তুলছেন লক্ষ্মী।
১৫ বছর বয়সে দিল্লির তুঘলক রোডে লক্ষ্মীর মুখে অ্যাসিড মারে দুষ্কৃতীরা। সেই থেকে শুধু নিজের বাঁচার লড়াই নয়, অন্য অ্যাসিড-আক্রান্তদেরও পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। হার না-মানা সাহসের জন্য আমেরিকার প্রাক্তন ‘ফার্স্ট লেডি’ মিশেল ওবামার হাতে পুরস্কৃত লক্ষ্মীর লড়াই অ্যাসিড-আক্রান্তদের ভরসা জুগিয়েছে অনেকটাই। তাঁর জনস্বার্থ মামলায় অ্যাসিডদগ্ধদের তিন থেকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রেও ক্রেতা বা বিক্রেতার পরিচয়ের নথি রাখা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে সু্প্রিম কোর্ট। সব রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রকে পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপের নির্দেশও দেয় তারা। কিন্তু সরকারি স্তরে কিছু নির্দেশিকা জারি ছাড়া কার্যত কিছুই হয়নি। ‘‘পাড়ার বাজার থেকে ঝকঝকে মল, সর্বত্র অ্যাসিড সুলভ। এটা বন্ধ করতে চাইছি,’’ রবিবার বলেন তিন বছরের মেয়ের মা লক্ষ্মী। সচেতন দোকানদারদের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড সরকারও লক্ষ্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
লক্ষ্মীর সহযোগী সমাজকর্মী বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘তরুণ-তরুণীর টিম গড়ে স্টপসেল অ্যাসিডের ডাক পৌঁছে দেব আমরা।’’ নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘অ্যাসিড হানার বিভিন্ন ঘটনার পরে জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছি, হামলাকারীরা কী করে অ্যাসিড পেল! অ্যাসিড বিক্রি রুখতে পারলেই সুরাহা সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy