অর্পিতা ঘোষ। ফাইল চিত্র।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ‘চমক’ দেখা যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই ‘চমক’ সম্পর্কে খোলসা না করলেও দলের দিল্লি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার বাইরের কোনও দলের কোনও বড় নাম যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে।
গত কাল হঠাৎ করেই দলের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, কাকে আনার জন্য সরানো হল অর্পিতাকে? তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, ‘ব্যক্তির তুলনায় দল বড়। গত কালের ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। অর্পিতাকে দলের অন্য ভূমিকায় ভাবা হয়েছে।’ কিন্তু ২০২৬ পর্যন্ত যাঁর সাংসদ হিসাবে মেয়াদ ছিল, তাকে তড়িঘড়ি এখনই সরে যেতে হল কেন, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে উঠে আসছে দু’টি কারণ। প্রথমত, অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল নানা কারণে। কিছু দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছিল। তৃণমূল সূত্রের মত, যা দলের সর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসন্তোষের কারণ হয়। পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, দলকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সম্প্রসারিত করার জন্য কিছু কৌশলের কথা ভাবা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে অর্পিতাকে সরিয়ে নতুন চমককে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত।
স্বাভাবিক ভাবে রাজধানীতে গুঞ্জন, কে হতে পারেন তৃণমূলের নতুন রাজ্যসভার সদস্য? কংগ্রেস থেকে কোনও নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে না দেওয়া হলেও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বা জি-২৩ থেকে কাউকে নেওয়ার সম্ভাবনা কম, এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও গত কাল তৃণমূলের এক নেতার সঙ্গে গুলাম নবি আজাদের বৈঠক হয়েছে বলে এআইসিসি সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে কয়েকটি সূত্র দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথমটি হল, যিনি আসবেন তিনি অন্য রাজ্যের নেতা। দ্বিতীয়ত, তাঁর তৃণমূলে অন্তর্ভুক্তি হলে বিজেপি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৃতীয়ত, জাতীয় স্তরে তিনি নাকি একটি বড় নাম। তৃণমূল যে হেতু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরায় শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য ঝাঁপিয়েছে, তাই সেখানকার কাউকে আনা হবে কিনা, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। ত্রিপুরার বর্তমান মহারাজা তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা সম্প্রতি ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের’ ডাক দিয়েছেন। তার জন্য ‘তিপ্রা মথা’ বলে নতুন দলও করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূল আমাদের দাবিকে সমর্থন করলে ভাল। রাজনৈতিক ভাবে কেউই অস্পৃশ্য নয়। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলে তৃণমূল বাঙালি এবং উপজাতি ভোট ব্যাঙ্ককে এক ছাতার তলায় আনতে পারবে।’ তবে তৃণমূলেরই এক সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি দলের বিচারাধীন। কারণ প্রদ্যোতের সঙ্গে জোট করলে তিনি নিজের রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্খা চরিতার্থ করার দিকেই বেশি জোর দেবেন। তৃণমূলের তাতে কতটা লাভ হবে, সেটাও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy