মমতা আগেই বলেছিলেন। এ বার অভিষেকও বললেন।
সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির কোনও অভিযোগ দলের কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে এলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এ ব্যাপারে কেন তিনি কোনও বার্তা দেননি, সে প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে অভিষেক শনিবার বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নেত্রী যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়েছেন। নতুন করে আর কিছু বলার নেই।’’ তবে নির্দেশ সত্ত্বেও কেন দলের একের পর এক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আসছে, সে ব্যাপারে অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘নেত্রী দলকে কঠোর ভাবে এর মোকাবিলা করতে বলেছেন। প্রশাসনকেও কড়া হাতে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
বিধাননগর পুর নিগমের কাউন্সিলর ডাম্পি মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবারই বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ সব থানার ওসি-দের নিয়ে ক্রাইম বৈঠক করেছেন। তিনি থানাগুলিকে সতর্ক করেছেন এই বলে যে, নাগরিকেরা যেন প্রথমেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করাতে পারেন। কমিশনার কিংবা অন্য কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক পর্যন্ত প্রথমেই যেন কোনও নাগরিককে ছুটে আসতে না হয়। তোলাবাজ, দুষ্কৃতীদের এতটাই কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে পুলিশ দাঁড় করিয়ে সাধারণ মানুষকে বাড়ির দেওয়াল তুলতে না হয়। সরকারি জমি যাঁরাই দখল করুন, কাউকে রেয়াত করা হবে না।
এ দিনই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছিল। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সিন্ডিকেট, তোলাবাজি বরদাস্ত না করার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও ওই জেলা থেকে কেন এত রকম অভিযোগে আসছে, তা নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন কিছু নেতা। দলীয় সূত্রের খবর, এই ধরনের অভিযোগের পরে উত্তর ২৪ পরগনার ‘লজ্জা হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়।
সল্টলেক, রাজারহাট, নিউ টাউন থেকে কেন তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের অভিযোগ আসছে, সেখানে কী সমস্যা, তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়, জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ, সৌগতবাবু ও ব্যারাকপুরের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার দিন কয়েকের মধ্যে বিধাননগর পুর নিগমের অন্তর্গত সল্টলেক, রাজারহাট, নিউ টাউনের সব বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। কাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসছে ও কেনই বা তাঁরা দলীয় নির্দেশ অমান্য করছেন, তা খতিয়ে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এই কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy