ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
হুডখোলা জিপে চড়ে রিল বানাচ্ছে উপমুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। তাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ! এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইচই রাজস্থানে। পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেমচাঁদ বৈরওয়ার প্রথমে দাবি করেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া পুত্র কোনও ভুল করেনি। ভিডিয়োতে যে পুলিশকর্মীদের দেখা গিয়েছে, তারা তাঁর পুত্রের নিরাপত্তারক্ষী। বিতর্ক বাড়ায় পরে অবশ্য ছেলের কর্মকাণ্ডের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বৃষ্টির মধ্যে একটি হুডখোলা জিপে চড়ে যাচ্ছে প্রেমচাঁদের স্কুলপড়ুয়া পুত্র। পাশে বসে আরও তিন তরুণ। রিল বানাচ্ছে তারা। তাদের গাড়ির সঙ্গে একটি পুলিশের গাড়িও যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেলের রিল বানানোর সময় কেন পুলিশ নিরাপত্তা দেবে?
অন্য দিকে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেমচাঁদ বলেন, ‘‘ভিডিয়োয় আমার ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। এতে কোনও ভুল নেই। আমি ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি আমার মতো এক জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন এবং এর কারণে আমার ছেলেও দামি গাড়িতে বসার সুযোগ পাচ্ছে। আমার ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছিল। আর পিছনে যা গাড়ি যাচ্ছিল, তা নিরাপত্তার জন্য।’’
যদিও বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিতেই সুর বদলে ফেলেন প্রেমচাঁদ। পরে তিনি বলেন, “আমি চাই না আমার জন্য দল বা অন্য কোথাও কোনও সমস্যা সৃষ্টি হোক। এ কারণে আমার ছেলের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। সে এমন কাজ আর করবে না তা আমি তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।”
উল্লেখ্য, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। মন্তব্যের ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘দেশে মূর্খদের অভাব নেই।’’ আবার অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘এঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। গরিব মানুষ হলে তো ছাড় পেত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy