অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুখেন্দুশেখর রায় নিজস্ব চিত্র।
সর্বভারতীয় স্তরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলের প্রবীণদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আশীর্বাদ নিতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার আশীর্বাদ নিতে গেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে। রবিবার সন্ধ্যায় সুখেন্দুর দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময়ও কাটান তিনি।
গত ৫ জুন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষিক্ত হয় অভিষেকের। জাতীয় রাজনীতিতে তিনিই দলের বিস্তারে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সামনের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে অভিষেককে। তাই নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে হাজির হন। উদ্দেশ্য একটাই, দলের প্রবীণদের আশীর্বাদের পাশাপাশি তাঁদের পরামর্শ গ্রহণ করা। অভিষেক প্রথমেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। তারপর একে একে সুব্রত বক্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়ের বাড়িতে যান তিনি। রবিবার তাঁর গন্তব্য ছিল সুখেন্দুর বাড়ি। অভিষেকের আসার খবর আগেই ছিল তাঁর কাছে। সেই মতো দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে অভ্যর্থনা জানাতে বাড়ির দরজার সামনেই উপস্থিত ছিলেন সুখেন্দু। সৌজন্যে খামতি রাখেননি অভিষেকও। গাড়ি থেকে নেমেই প্রবীণ সাংসদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। তারপর তাঁরা দু’জনে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান। সুখেন্দুর বাড়িতে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেন অভিষেক।
শুধুই কি আশীর্বাদের জন্য অভিষেক ছুটছেন প্রবীণ নেতাদের বাড়ি? না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। বড় কোনও কাজ করার আগে গুরুজন বা বড়দের আশীর্বাদ নেওয়া রেওয়াজ নতুন নয়। এ ক্ষেত্রে অভিষেকও সেই কাজ করছেন। আবার তৃণমূলেরই অন্য অংশের মতে, অভিষেক নিজেকে দলের মধ্যে মেলে ধরতে চাইছেন। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো পরিচয়ে নয়, দলকে স্বতন্ত্র ভাবে নেতৃত্ব দিতে চাইছেন তিনি। কোনও দলকে শক্ত করার জন্য জরুরি নবীন-প্রবীণ ভারসাম্য বজায় রাখা। আশীর্বাদ নেওয়ার মাধ্যমে অলক্ষে সেই কাজটাও করছেন অভিষেক। কারণ এর আগে বিরোধী শিবির বিশেষ করে বিজেপি নেতারা বার বার তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। দলে মমতাই তাঁর ভাইপোর আগামী দিনের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগও তোলা হয়। অভিষেক সেই অভিযোগ খারিজ করার চেষ্টাও করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy