তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সিপিএমকে সরিয়ে ২০১১ সালে যে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল দল আজ সেই রকম নেই, এ কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের ‘নতুন প্রজন্ম’-এর মুখ হিসেবে অভিষেককে গণ্য করা হচ্ছে। তিনি এখন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেই অবস্থান থেকে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে ‘নতুন তৃণমূল’ দেখতে পাওয়া যাবে। শুক্রবার ইডি-র দফতরে হাজিরার সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও স্পষ্ট বলেন, ‘‘নতুন তৃণমূল মানে যে দল সিপিএমের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে একটা নতুন সরকার গড়েছিল, সেই তৃণমূলের কথা আমি বলেছি। যে দল আত্মসমর্পণ করতে জানে না। যে তৃণমূল নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের সঙ্গে কাজ করবে।’’
রাজনৈতিক মহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে এসে এতদিন ধরে যে তৃণমূলের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, সেই তৃণমূলে কি নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করার লোক আর নেই? নাকি আগে যাঁরা নিঃস্বার্থ ছিলেন, এখন আর নেই? অভিষেক এ দিন বলেন, ‘‘জেলা, ব্লক স্তরে সাংগঠনিক বদল শুরু হয়েছে তাতে এই নতুন তৃণমূলের ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে।’’
তৃণমূলের ভিতরেও অনেকে বলছেন, ‘‘পার্থ, অনুব্রতদের মতো অংশকে বাদ দিলেও পুরনো কেউই গ্রহণযোগ্য নন বলে ধরে নেওয়া হলে সেখানেও একটি ভেদ-বিচারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তৃণমূলনেত্রী মমতা ৮ সেপ্টেম্বর দলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে জেলার একেবারে নীচেরতলা থেকে উপরের স্তর পর্যন্ত নেতাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। অভিষেকের এ দিনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতার আসন্ন বৈঠক কী বার্তা দেয়, আগ্রহ এখন সে দিকেই। নতুন তৃণমূলের নেতৃত্বের প্রশ্নে অভিষেক এ দিনও বলেন, ‘‘তৃণমূলের একটাই মুখ জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy