(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে শাসক শিবিরের চর্চা উস্কে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অভিষেকের জন্মদিনের আগে শুভেচ্ছার মোড়কে বিষয়টিকে সামনে এনে কুণালের মন্তব্য, মমতার পর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অভিষেকই।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক আজ, বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পা দিচ্ছেন। তার ঠিক আগে বুধবার সমাজমাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়টি তুলেছেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ‘মমতাদি’কে দীর্ঘ কাল দেখেছি, এখন অভিষেককেও দেখছি। দ্রুত আরও পরিণত। আবেগের সঙ্গে মিশছে আধুনিক পদ্ধতি, প্রযুক্তি। আরও ধারালো হচ্ছে অভিষেক’। এই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ‘সময়ের নিয়মে মমতাদি’র পর এক দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি থেকে যুগান্তরের পতাকায় কান্ডারী’।
সদ্যই অভিষেকের প্রশংসায় মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে। তার পরে কুণালের এই মন্তব্য তৃণমূলের অন্দরের জল্পনায় নতুন ইন্ধন দিয়েছে। মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘এটা তো নতুন কিছু নয়। এটাই তো পরিবারতন্ত্রের নিদর্শন! সরকার যে সরকারের বাইরে থেকে সমান্তরাল ভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেটা তো আমরা বলেই আসছি। এই জন্যেই রাজ্যের এই অবস্থা। তবে ওঁরা নিশ্চিন্তে থাকুন, স্বপ্নপূরণ হবে না। তার আগেই তৃণমূল দলটা উঠে যাবে!’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি কোনও ঘোষণা করছেন? তাঁর মুখপাত্র পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম বলে দিচ্ছেন মানে তো মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা! মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, দরজায় নতুন লোক দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রশ্নও থাকছে, বিজেপি কি তৃণমূলের মধ্যে থেকে কাউকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের মতো ‘শিন্ডে মডেল’ আনতে চাইছে?’’ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘এ সব কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, মমতা এখন ওঁদের (তৃণমূল) বোঝা হয়ে গিয়েছেন। সুযোগসন্ধানী হয়ে সেই জায়গা দখল করতে চাইছেন অভিষেক। কিন্তু বাংলার মানুষের মতামত ছাড়া কিছু হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy