মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজোর দু’দিন আগে চোখের অস্ত্রোপচার করিয়ে আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন বার তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। তিন বারই দেখা গিয়েছে, চোখে কালো কাচের চশমা রয়েছে অভিষেকের। মঙ্গলবার সংসদে দেখা গেল অভিষেকের চোখ থেকে সরেছে কালো কাচের আবরণ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির অফিসে সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানেও অভিষেককে দেখা গিয়েছিল কালো কাচের চশমা পরে রয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার বিমানেই কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। মঙ্গলবার ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষে সংসদে গিয়ে দলের সাংসদদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। নতুন সংসদ ভবনের মূল ফটকের সামনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, শতাব্দী রায়, প্রকাশ চিক বরাইক-সহ দলের দুই কক্ষের সাংসদদের সঙ্গে ছবিও তোলেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, তাঁর চোখ থেকে সরেছে কালো কাচের চশমা।
গত ৭ নভেম্বর ছিল অভিষেকের জন্মদিন। ওই দিনই সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন রোদ-ধুলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে কালো চশমা পরতে হবে। টানা কয়েক সপ্তাহ তা পরার কথা বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। সম্ভবত, সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। চশমা ছাড়া আগের থেকে ভাল দেখতেও পাচ্ছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, এই নিয়ে সপ্তম বার চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের। তবে এ বারই প্রথম ডান চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এর আগের অস্ত্রোপচারগুলি বাঁ চোখে হয়েছিল। আগামী মে মাসে ফের চেকআপের জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে অভিষেককে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে দল। তাঁকে জাতীয় রাজনীতি এবং সংসদ বিষয়ে মুখপাত্রদের তালিকার এক নম্বরে রাখা হয়েছে। বৈঠকের পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে সে কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কেন গণ্ডি কেটে দেওয়া হল, তা নিয়ে দলের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সংসদে দলের সাংসদদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ-ও জানিয়েছেন, শীতকালীন অধিবেশনে তিনি নিয়মিত সংসদে হাজির থাকবেন। বুধবার তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক রয়েছে। সেখানেও অভিষেকের থাকার কথা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy