ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়েই তাঁর ‘নাবালক’ কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তাজপুরে দাঁড়িয়ে তাঁর পাল্টা খোঁচা, ‘‘আমি না হয় নাবালক। কিন্তু ওঁকে বলুন সাবালকত্বের প্রমাণ দিতে।’’ বুধবার অভিষেককে ‘নাবালক’ বলেছিলেন শুভেন্দু। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যুত্তর দিলেন অভিষেক।
বুধবার রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘অভিষেকের কথার উত্তর দেব না। নাবালক নেতার কথায় উত্তর দেব না।’’ বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর নিজের এলাকায় পা রেখে অভিষেক তার জবাবে বলেন, ‘‘আমি না হয় নাবালক। কিন্তু ওঁকে বলুন ওঁর সাবালকত্বের প্রমাণ দিতে। সাবালক তো এসে দেখতে পারলেন না, সেই নাবালককেই আসতে হল। আমাকে আবারও ডাকলে আসব। ১০ দিন পরেই নাবালক ফের আসবে।’’
বৃহস্পতিবার ইয়াসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত তাজপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক। বাঁধ-দুর্নীতি প্রসঙ্গেও নাম না করে বিদ্ধ করেন তাঁকে। বলেন, ‘‘যাঁরা এই অংশের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা মানুষের জীবনের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। এর থেকে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। জেলার এক জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী করেছিলেন। যাতে জেলার মানুষের কষ্ট তিনি বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তিনি। নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। মানুষের অর্থ সরিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন। আমি বাক্রুদ্ধ।’’ অভিষেকের ইঙ্গিত যে কোন দিকে তা এই মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে যায়।
হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বলেন, ‘‘মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের এক জনকেও রেয়াত করা হবে না। তদন্ত হবে। আমার তো মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গোটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।’’
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন পর্বে অভিষেক এবং শুভেন্দুর বিরোধ তুঙ্গে উঠেছিল। অভিষেকের স্ত্রী-র বিরুদ্ধে একের পর এক সভা থেকে লাগাতার অভিযোগ তুলতে থাকেন শুভেন্দু। পাল্টা জবাব দেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদও। ভোট পর্বেই কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-র কয়েক কিলোমিটার দূরে তৃণমূলের সভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘এমনিতে তো জোকারের মতো মুখ! তার উপর বড় বড় কথা! আমাকে বলছে যে, ‘এলে দেখে নেব। যদি না শোধরাও, ওই করব, তাই করব। আরে তোর বাপকে গিয়ে বল, তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি! যা করার কর! আয়’! হিম্মত আছে? এই মেদিনীপুরের মাটিতে, তোমার মাটিতে, তোমার পাড়ায় তোমার এলাকায় দাঁড়িয়ে তোমায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যাচ্ছি।’’ ভোট মিটে যাওয়ার পর, ফের দুই নেতার বাগযুদ্ধ রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন তুলল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy