(বাঁ দিকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই তাঁর মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল, এমনটাই জানালেন মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। তিনি জানান, মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছিল। মন্ত্রীর ‘অনুরোধ’ তিনি ফেলতে পারেননি। তবে আপ্তসহায়ক পদ থেকে সরে আসার সময় মা এবং স্ত্রীকেও সরিয়ে এনেছেন অভিজিৎ।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়ক হিসাবে কাজ করেন অভিজিৎ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমার মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। মন্ত্রী যখন নির্দেশ দেন, তা তো পালন করতেই হবে। তাঁর অনুরোধও এক প্রকার নির্দেশই। আমি ইডিকে সবই জানিয়েছি। ওই সংস্থায় কী লেনদেন হয়েছিল, জানি না। ২০১৪ সালেই আমার মা এবং স্ত্রী সংস্থা থেকে সরে আসেন।’’
হনুমান রিয়েলকর্ন প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড নামের দু’টি সংস্থায় শেয়ারের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। এই সংস্থা দু’টিতেই অভিজিতের মা এবং স্ত্রী ডিরেক্টর হয়েছিলেন। সংস্থাগুলিতে খোঁজখবর করেই অভিজিতের নাম জানতে পেরেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ডিরেক্টরের সূত্রেই অভিজিৎ পর্যন্ত পৌঁছয় তারা।
অভিজিৎ এ-ও জানিয়েছেন, তিনি ২০১৪ সালে নিজে আপ্তসহায়ক পদ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর তাঁর মা এবং স্ত্রী-ও সংস্থাগুলি থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তাঁদের পদত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে দাবি অভিজিতের। তিনি জানান, একপ্রকার জোর করেই সংস্থা ছেড়ে তাঁরা বেরিয়ে এসেছিলেন।
রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। তিনি বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে দিন তল্লাশি চালিয়েছিল, সে দিন ইডির একটি দল গিয়েছিল অভিজিতের বাড়িতেও। এর পর একাধিক বার অভিজিৎকে ইডি দফতরে তলব করা হয়। নথিপত্র নিয়ে বার বার তাঁকে সিজিওতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। অভিজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই একটি মেরুন রঙের ডায়েরি পেয়েছিল ইডি। সেখানে রেশন সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। সেই ডায়েরি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অভিজিৎ। দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু তিনি জানেন না বলেও দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy