—প্রতীকী ছবি।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি দিদিকে জামিনে মুক্ত করতে কলকাতা হাই কোর্টের অলিন্দে ঘুরছেন বোন। সঙ্গে কিশোরী বোনঝি। সেই ঘুরতে ঘুরতেই পৌঁছেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তবে তাঁর এজলাসে জামিনের মামলার শুনানি হয় না। কিন্তু বিষয়টি শুনতে পেরে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে (সেখানেই এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা) উত্থাপন করতে বলেছেন। এই মামলা করতে যে যে নথি প্রয়োজন সেগুলি আইনজীবীকে হস্তান্তর করতে ওই মহিলাকে বলেছেন বিচারপতি।
আদালতের খবর, শাশুড়িকে খুনের দায়ে অসীমা বিশ্বাস নামে ওই বন্দি ২০১৭ থেকে জেলবন্দি। তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে নদিয়ার রানাঘাট আদালত। জেলেই কিডনির অসুখে ভুগছেন তিনি। অসীমার ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সে তার দিদা এবং মাসির কাছে থাকে। সেই বোনঝিকে নিয়ে সোমবার আদালতে হাজির হয়েছিলেন অসীমার বোন অর্পিতা নাথ। হাই কোর্টের কোন এজলাসে মামলা হবে তা বুঝতে না পেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ঢুকে পড়েছিলেন এবং সেখানেই বিষয়টি জানান। অর্পিতা বলেন, তাঁর দিদি হয় তো বাঁচবেন না। তাই শেষ সময়ে যাতে মেয়ের কাছে থাকতে পারেন, সেটুকুই চাওয়া। সেই কারণেই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল এবং জামিনের আর্জি জানাতে চান। ওই মহিলার আইনজীবী সুনন্দা ভাট।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরেই সুনন্দাকে ডেকে এনে কথা বলেন। জানা যায়, অসীমার জামিনের আর্জি এর আগে এক বার খারিজ হয়েছে। নতুন করে আবেদন করতে হবে। এর আগে অন্য আইনজীবী মামলা লড়েছিলেন। নতুন আবেদন করতে হলে অসীমার চিকিৎসার কাগজ-সহ কিছু নথি দরকার। অর্পিতাকে ওই নথি সুনন্দার কাছে দিতে বলেন বিচারপতি। মামলাটির শুনানির জন্য যাতে দ্রুত বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপন করা হয় তাও ওই আইনজীবীকে নিশ্চিত করতে বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy