প্রতীকী ছবি।
রাজারহাটে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম নামে দেগঙ্গার এক পার্শ্ব শিক্ষক। তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বার সেই তালিকায় সংযোজিত হলেন আরও এক স্কুলশিক্ষক। তাঁকেও ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছে কমিশন।
গত ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটে ফুলবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন হরদয়াল কর্মকার নামে বাংলার এক শিক্ষক। ভোট চলাকালীন সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। বোগরা বিবেকানন্দ মিশন হাইস্কুলের ওই শিক্ষককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে। সেখান থেকে জেলা হাসপাতাল হয়ে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পশ্চিম বর্ধমানের নিউ সদগ্রাম কোলিয়ারির বাসিন্দা হরদয়ালবাবুকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেরিব্রাল অ্যাটাকে তাঁকে ডান দিক অসাড় হয়ে যায়। এখন কোনও রকমে কথা বলতে পারছেন ওই শিক্ষক।
সেই ঘটনার পরে ওই শিক্ষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। গড়া হয় মেডিক্যাল বোর্ড। তাদের রিপোর্টে দেখা যায়, শিক্ষকের শরীরের ৬০ শতাংশ স্থায়ী ভাবে পঙ্গুত্বের গ্রাসে চলে গিয়েছে। এ বারেই প্রথম কমিশন স্থির করেছিল, কোনও ভোটকর্মীর অঙ্গহানির ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী হরদয়ালবাবুকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশন সূত্রের দাবি, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী হরদয়ালবাবুর অঙ্গহানি ঘটেছে। তাই পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হরদয়ালবাবুর মেয়ে, তৃতীয় বর্ষের কলেজপড়ুয়া দীপা কর্মকার বলেন, ‘‘আমরা কমিশনকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়েছিলাম। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি শুনেছি। তা পেলে সুবিধা হবে।’’ পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিকল্পনা ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক সুসময় বিশ্বাস জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই হরদয়ালবাবুর হাতে চেক পৌঁছে যাবে। জুলাইয়ে দেগঙ্গার মনিরুলকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy