—ফাইল চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী তরুণীকে খুনের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। সঠিক ভাবে তদন্তের দাবি জানিয়ে মৃত তরুণীর বাবা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আবেদন, ওই ঘটনায় তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত করুক পুলিশ। আগামী বৃহস্পতিবার ওই মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১৪ অগস্ট রাতে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে এক আদিবাসী তরুণীকে খুন হন। বাড়ির সামনে তরুণীর গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আরজি কর কাণ্ডের পরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে নামে আদিবাসী সমাজ। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। পুলিশের দাবি, আসল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। পরিবারের বক্তব্য, তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনের ধারা প্রয়োগ না করে তদন্ত করছে পুলিশ। তাঁদের আইনজীবী দেবপ্রিয় সামন্ত জানান, ওই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া যায় কি না আদালতকে তা বিবেচনা করতে বলব। কারণ, পুলিশি তদন্ত নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিশের দাবি, জেলা পুলিশের সিট গঠন করে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। ঘটনার ন’দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় সম্পর্কের জটিলতার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কারণ, মৃত তরুণী ও ধৃত উভয়েই বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন। সেখান থেকে তাঁরা এক সঙ্গেই রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমন বক্তব্যও উঠে আসছে। অর্থাৎ, তাঁরা দু’জনেই পূর্বপরিচিত ছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে মেয়েটির বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন ধৃত যুবক। সেখানে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বচসার জেরেই তরুণীর গলা কেটে খুন করেন অভিযুক্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy