২০১৮ সাল থেকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত গৌতম পাল। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে।’’ কিন্তু তিন দিনের মধ্যে দেখা গেল গৌতমের নিজেরই নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে! শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে গৌতমের নিয়োগ নিয়ে একটি মামলা রুজু হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে প্রাথমিকের সভাপতির একটি পুরনো নিয়োগের সময় রাজ্য সরকার যথাযথ নিয়ম মানেনি।
২০১৮ সাল থেকেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে রয়েছেন গৌতম। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার বহু আগে থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে তা এই সহ-উপাচার্য পদে গৌতমের নিয়োগ নিয়েই। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হওয়ার জন্য যে নিয়ম কানুন এবং যোগ্যতার মাপকাঠি মানার দরকার ছিল, তা গৌতমের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই গৌতমের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে।
গৌতমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মী প্রলয় চক্রবর্তী । তাঁর দাবি, কল্যাণীর সহ-উপাচার্য গৌতমকে আদতে রিডার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেই নিয়োগেও অস্বচ্ছতা রয়েছে। প্রলয় জানিয়েছেন, রিডার হিসেবেও গৌতমের যে নিয়োগ হয়েছিল, তা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। এ বিষয়ে প্রলয়ের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হওয়ার আইনি যোগ্যতা নেই গৌতমের। যার বিরোধিতা করেন গৌতমের আইনজীবী। শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে উঠেছিল মামলাটি। তিনি দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মামলাটি গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের কাছে এ ব্যাপারে জবাবও তলব করেছে হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, বুধবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গৌতম। এর আগে পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। টানা ১১ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ জুন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে ওই পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার পরই ওই পদে দায়িত্ব নিয়ে আসেন গৌতম। দায়িত্ব নিয়েই গত বুধবার তিনি বলেছিলেন, ‘‘আজ থেকে সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে। আগামী বছর থেকে প্রতি বছর টেট হবে। রেজাল্ট বেরোবে। চাকরিও হবে।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘চেষ্টা করব যেন কোনও অভিযোগ না থাকে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য ‘গ্রিভান্স সেল’ খোলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy