ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র।
একা আনমল মলহোত্র লড়লেন বাংলার পেসারদের বিরুদ্ধে। ইডেনে পঞ্জাবের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৯১ রানে। তার মধ্যে ১০৬ রান একাই করলেন আনমল। তিনি অপরাজিত রয়ে গেলেন। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটারদের কাউকে ২৫ রানের গণ্ডি পার করতে দিলেন না সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালেরা। দিনের শেষে বাংলা ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তুলেছে।
টস জিতে বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার বল করার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম ১৩ ওভার তিনি উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলান। মাঠে নামার সময় তাঁকে গার্ড অফ অনার দেয় বাংলা দল। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে দু’টি ক্যাচ নেন ঋদ্ধি। সূরজ চার উইকেট নেন। চার উইকেট নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সুমিত মোহান্তাও। দু’টি উইকেট নেন মহম্মদ কইফ। পঞ্জাবের কোনও ব্যাটার সে ভাবে রান করতে পারেননি। ব্যতিক্রম আনমল। ১১৪ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। ১১টি চার এবং দু’টি ছক্কা মারেন আনমল।
ব্যাট করতে নেমে বাংলার দুই ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১৭) এবং অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় (১১) অল্প রানে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামি করেন মাত্র ১৪ রান। অধিনায়ক অনুষ্টুপ ৩২ রান করেন। তাঁরা চার জনেই আউট হয়ে গিয়েছেন। দিনের শেষে অপরাজিত সুমন্ত গুপ্ত (৩৯) এবং সূরজ (৫)। ঋদ্ধিমান এখনও ব্যাট করতে নামেননি। শুক্রবার তাঁকে ব্যাট করতে নামতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হওয়ার আগে ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা দলের সব ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সি দেওয়া হয় ঋদ্ধিকে। ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় দেওয়া হয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে। স্নেহাশিস বলেন, “দুর্দান্ত একটা কেরিয়ার। ঋদ্ধি অনেককে উদ্বুদ্ধ করেছে। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর এত বছর খেলা কম কৃতিত্বের নয়। ওকে অনেক শুভেচ্ছা।” দলের বাকি ক্রিকেটারেরা একে একে জড়িয়ে ধরেন শিলিগুড়ির পাপালিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy