Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Firhad Hakim

কোথাও কোনও উচ্ছেদ হয়নি, হকার সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি হবে অ্যাপ, দাবি ফিরহাদের

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় রাস্তা বা ফুটপাথ দখল করে বেআইনি ভাবে কিছু ‘দখলদার’ ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে সম্প্রতি একটি বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন স্বয়ং মমতা। ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

A new app develops for hawker problem in West Bengal

কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ২১:৩৬
Share: Save:

বেআইনি ‘দখলদার’ উচ্ছেদ বা পার্কিং জ়োন নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৈঠক শেষে তিনি জানান, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগানের মতো এলাকায় জোরকদমে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে ফিরহাদ স্পষ্ট দাবি করেন, কোথাও কোনও হকার উচ্ছেদ হয়নি।

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় রাস্তা বা ফুটপাথ দখল করে বেআইনি ভাবে কিছু দখলদার ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে সম্প্রতি একটি বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন স্বয়ং মমতা। ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সেই ‘ধমকের’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল উচ্ছেদ। নেমেছিল বুলডোজ়ার। বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, দখল হয়ে থাকা ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করার অভিযানের পর্যালোচনা। সেই বৈঠকেই উঠে আসে বেআইনি পার্কিংয়ের প্রসঙ্গ। পাশাপাশি মমতা জানান, প্রশাসনের তরফে যে দখলমুক্তি অভিযান শুরু হয়েছে, তা আপাতত এক মাস বন্ধ থাকবে। এই এক মাস ধরে সমীক্ষা করবে প্রশাসন। সেই সময়ের মধ্যে বেআইনি দখল সংক্রান্ত সব সমস্যা মেটাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এক মাস পরে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেব। শহরে তৈরি করা হবে ‘হকিং জ়োন’, ‘নন-হকিং জ়োন’ এবং ‘আংশিক হকিং জ়োন’। হকারদের পরিচয়ের জন্য তৈরি করা হবে নতুন অ্যাপ। এই অ্যাপে হকারদের আধার কার্ডের লিঙ্ক থাকবে।’’

রাজ্যে বেআইনি পার্কিং এবং দখলদারির সমাধান খুঁজতে কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক। এ ছাড়াও কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকেও রাখা হয়েছে। শুক্রবার ফিরহাদ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা বলতে গিয়ে ববি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বৈঠক করেছি। আমরা সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছি। গড়িয়াহাট থেকে শুরু করে হাতিবাগান, নিউ মার্কেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা হবে। খুঁটিয়ে দেখা হবে কোথায় কোথায় হকারেরা আছেন। একটা অ্যাপ তৈরি হচ্ছে।’’ বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, হকারদের জিনিসপত্র রাখার জন্য একটা আলাদা জায়গা করে দেওয়ার জন্য। ফিরহাদ জানান, সর্বত্র সেই জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে।

পুরমন্ত্রী আরও দাবি করেন, পুলিশ কোথাও উচ্ছেদ করেনি। সরকারি জমিতে যেখানে যেখানে বেআইনি ভাবে স্ট্রাকচার তৈরি করা হয়েছিল, তা ভাঙা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ফুটপাথ সরকারি জায়গায়। সেখানে আমাদের অধিকার নেই। আমাকে ফুটপাথ দিয়েছে বলে আমি ফুটপাথ দখল করার জন্য নয়। আমরা পরিদর্শন করে বলেছি ৩/৫ ফুট জায়গায় রেখে বাকিটা ছেড়ে দাও। সোমবার আমরা ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেব।’’ ফিরহাদের দাবি, ‘‘বাম আমলে সব একতরফা হয়েছে। আমাদের সারা রাত ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে। কী অত্যাচার করেছে সেটা আপনারা জানেন না। আজকে কলকাতা যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা রাজ্যের সমস্ত জেলায় কার্যকরী করা হবে। এক মাস আগেই ই-পোস মেশিন দিয়ে দেব। আমরা মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করছি। সরকারি জমি কেউ ভাড়া দিতে বা বিক্রি করতে পারবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

FirhadHakim hawker Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE