তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল শিশু। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে মিলল তার দেহ। পরিবারের দাবি, যে দিন শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল, সে দিনই তারা ওই পুকুরে খোঁজাখুঁজি করেছিল। কিন্তু সে দিন শিশুর হদিস মেলেনি। তিন পর সেখান থেকেই দেহ উদ্ধার হওয়ায় তারা মনে করছে, শিশুটিকে খুন করে পরে ওই পুকুরে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার ২৩ নম্বর লাট এলাকায় শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত শিশুর নাম ধনঞ্জয় দত্ত (১০)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ধনঞ্জয়। পরিবারের লোকেরা বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন ৷ কিন্তু শিশুর খোঁজ মেলেনি। এর পর শনিবার সকালে পাশের গ্রামের একটি পুকুরে এক শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা গিয়ে দেখেন, সেটি ধনঞ্জয়ের দেহ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় সাঁতার জানত। ফলে ডুবে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া সে বাড়ি থেকে এত দূরে এলই বা কী করে? পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, ধনঞ্জয়কে কেউ খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।