মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল পড়ুয়ারা। সেখানেই কিছু বহিরাগত যুবক এসে ছাত্রদের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সোমবার স্বরূপনগরের বিথারি কেপি হাইস্কুলের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট বাধে। রাস্তা অবরোধও হয়। পরে বিডিওর মধ্যস্থতায় ফি কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও ছাত্রছাত্রীরা ফি আরও কম করার দাবিতে আন্দোলন জারি রাখে।
বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এলাকার গরিব ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে এত বেশি ফি দেওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া, এলাকার অন্যান্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের থেকে তাদের কেন বেশি ফি দিতে হবে, সে প্রশ্নও ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের স্কুলের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। শনিবারেও বিক্ষোভ চলে। সোমবার সকালে একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে কিছু বহিরাগত লোকজনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা ঝামেলা বেধে যায়। সে সময়ে একদল ছাত্রছাত্রী স্কুলের সামনে স্বরূপনগর-হাকিমপুর রাস্তার উপর বসে পড়ে অবরোধ শুরু করে। বিডিও এবং পরিচালন সমিতির সম্পাদক ঘটনাস্থলে যান। পৌঁছয় পুলিশও। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের দাবি, সীমান্ত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করেন। সে কথা ভেবে অন্যান্য স্কুলে রেজিস্ট্রেশন ফি যেখানে ২০০-২৫০ টাকার বেশি নয়, সেখানে এই স্কুলে ৪০০-৪৩০ টাকা কেন নেওয়া হবে? তাদের দাবি, এই নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বহিরাগত কিছু ছেলে এসে মারধর করেছে।
শিক্ষক পলাশ সরকার বলেন, “স্কুলের বাইরে মারামারি হয়েছে। ভেতরে কিছু হয়নি।” তাঁর বক্তব্য, “আসলে স্কুলের উন্নয়নের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি-সহ ওই টাকা ধার্য করা হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের আর্জি মেনে তা কমিয়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু ফি আরও কমানোর দাবি উঠছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy