Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভয় পেলে চলবে না, কর্মীদের বললেন সিদ্ধার্থনাথ

কড়া নিরাপত্তায় ভোট হবে, তাই ভয়ের কিছু নেই বলে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি জানান, বুথে বুথে কেন্দ্রের ১২ হাজারের উপরে বাহিনী থাকবে। বুথের দু’শো গজ বাইরে থাকবে বাংলার পুলিশ। দলের কর্মীদের সাহস জুগিয়ে বিজেপি নেতার উক্তি, “জো ডর গয়া, উও মর গয়া। জো ডর নেহি গয়া, উও জিত গয়া।”

সভার পথে সিদ্ধার্থনাথ।--নিজস্ব চিত্র।

সভার পথে সিদ্ধার্থনাথ।--নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
স্বরূপনগর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৪
Share: Save:

কড়া নিরাপত্তায় ভোট হবে, তাই ভয়ের কিছু নেই বলে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি জানান, বুথে বুথে কেন্দ্রের ১২ হাজারের উপরে বাহিনী থাকবে। বুথের দু’শো গজ বাইরে থাকবে বাংলার পুলিশ। দলের কর্মীদের সাহস জুগিয়ে বিজেপি নেতার উক্তি, “জো ডর গয়া, উও মর গয়া। জো ডর নেহি গয়া, উও জিত গয়া।”

এ দিন সকালে চাতরায় কর্মিসভার পরে স্বরূপনগরে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির দোতলায় দলের সাধারণ সম্পাদক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং যুব সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে সঙ্গে নিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা বলেন, “এ বারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বনগাঁর ফলাফল দেখে নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস বাড়বে যে বিজেপি বাংলায় জেতার মতো জায়গায় এসেছে। তা হলে ২০১৬ সালে ভাগ মমতা ভাগ পুরো হবে।”

এ দিন সভার মাঝে আসেন কেডি সিংহ এবং মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁদের পাশে বসিয়ে সিদ্ধার্থনাথ বলেন, “এই দেখুন আমরা সকলে এক। মঞ্জুল ঠাকুরের ইচ্ছা ছিল শরণার্থীদের পুর্নবাসন দেবেন। মমতা চেয়েছিলেন অনুপ্রবেশকারীদের ভরসায় ভোটে জিততে। তাই কাজের সুযোগ না পেয়েই মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন মঞ্জুল। যে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটের উপরে নির্ভর করেন, তিনি আপনাদের উন্নয়ন করবেন কী করে?” অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়ে আসা সুব্রত ঠাকুরকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবেই দল বনগাঁ লোকসভায় প্রার্থী করেছে বলে দাবি করে বিজেপি নেতা বলেন, “বনগাঁর মানুষের সামনে দু’টো বিকল্প খোলা আছে। হয় বিজেপিকে জয়ী করে এলাকার উন্নয়ন করতে হবে। নয় তো তৃণমূলকে জয়ী করে এলাকার অনুন্নয়ন।” সিদ্ধার্থনাথের দাবি, সারদা মামলায় মমতা যাদের নাম করে চোর বলেছিলেন, তাঁদের সকলেই জড়িত আছেন। সারদা মামলায় জড়িত এমন কাউকে দলে নেওয়া হবে না। তবে অন্য কেউ আসতে চাইলে বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি। প্রচারের সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে সিদ্ধার্থনাথের কাছে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বরূপনগরের কিছু কর্মী-সমর্থক। স্থানীয় কর্মীদের কথাও নেতারা শুনছেন না বলে অনুযোগ করেন তাঁরা। বনগাঁ উপনির্বাচনে এখনও দল যে প্রচার তেমন গুছিয়ে উঠতে পারেনি, সেই তথ্যই ফের স্পষ্ট হল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE