এ ভাবেই চলে যাতায়াত। ছবি: দিলীপ নস্কর।
ফলতায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ফতেপুর বাস মোড় থেকে দোস্তপুর হয়ে বাগরাহাট পর্যন্ত রুটে কোনও বাস চলে না। বিকল্প হিসেবে বর্তমানে ৮-১০টি ট্রেকার ওই রুটে চলাচল করে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুব কম হওয়ায় বাধ্য হয়ে ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা হয়ে নিত্য যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। তার উপরে, ট্রেকার চলে সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা নামলে যাত্রীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
যাতায়াতের জন্য ফলতা ব্লকের কাঁটারিয়া, নবাসন, ভাতহেড়িয়া, দিঘিরপাড়, বাদামতলা, নস্করপুর, সুধীরমোড় সহ ১৫-২০টি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের কাছে রাস্তাটির যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়াও, এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী ওই রাস্তা দিয়ে ফতেপুর হাইস্কুল, ডায়মন্ড হারবার কলেজে যাতায়াত করে। এমনকী, ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আসতে হলে ওই রাস্তা দিয়েই আসতে হয়। এ ছাড়াও, বাগরাহাট এলাকায় ফুল ও ফলের চারাগাছের প্রচুর নার্সারি রয়েছে। ওই সব নার্সারিতে ফলতা এলাকার একাধিক গ্রামের মহিলারা কাজ করতে যান। কিন্তু ওই রুটে কোনও বাস না থাকায় সকাল বেলা যেমন বহু কষ্টে তাঁদের যেতে হয়। ফেরার সময়েও একই অবস্থায় পড়তে হয়।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ ভাবে চলতে গিয়ে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে। ভাতহেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ঝর্ণা মন্ডল, সবিতা হালদাররা জানান, এই রুটে সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত ট্রেকার চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কিন্তু পেটের টানে নার্সারিতে কাজ করতে যেতে হয়। বাস না থাকায় বাধ্য হয়েই ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হয়। সন্ধের পরে ট্রেকার না থাকলে যাত্রীদের কী দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা এক যাত্রীর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেল। বাগরাহাট এলাকার বাসিন্দা অমর দলুই বলেন, “জামাই ষষ্ঠীর দিন ডায়মন্ড হারবারে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ছিলাম। পর দিন কাজ ছিল বলে ওই দিনই বাড়িতে ফেরার জন্য বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ দোস্তপুর মোড়ে স্ত্রীকে নিয়ে দাঁড়াই। প্রায় দু’ঘণ্টা মতো দাঁড়ানোর পরে কোনও গাড়ির দেখা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকায় অটো রিজার্ভ করে বাড়ি ফিরি।”
সমস্যার কথা মেনে নিয়ে ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু নস্কর বলেন, “ফলতা বা দোস্তপুর থেকে সরাসরি বাগরাহাট পর্যন্ত বাস চলাচল না করলেও দোস্তপুর থেকে কয়েকটা স্টপেজ পরে মজলিশপুর থেকে এস ডি ২২ বাই ১ রুটের বাস দিঘির পাড়, বাগরাহাট, মুচিশা, ঠাকুরপুকুর হয়ে ধমর্তলা পর্যন্ত যাতায়াত করে। ওই রুটে মাত্র ৭টি বাস চলাচল করায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। দোস্তপুর থেকে বাগরাহাট পর্যন্ত বাস চালানোর ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।” দ্রুত যাতে ওই সমস্যা সমাধান করা যায় তার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy