থানার সামনে মারধর, অভিযোগ বিজেপির
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর
জেলায় জেলায় বিজেপির উপরে তৃণমূলের আক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরেও একই অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের দেখতে এসেছিল জেলা বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাঁরা যখন সাগর থানায় ঢুকে কথাবার্তা বলছেন পুলিশের সঙ্গে, সে সময়ে থানার সামনেই কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। পুলিশ অবশ্য এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলেই মানতে চায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গত শুক্রবার সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে সাগরের জীবনতলা গ্রামে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক বিজেপির লোকজনের উপরে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ছ’জন বিজেপি সমর্থক গুরুতর জখম হন। তাঁদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার জেলা বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে আসে। পরে সাগর থানায় অভিযোগপত্রও জমা করেন তাঁরা। সে সময়ে থানার সামনে এক দল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। সবেমাত্র প্রতিনিধি দলের লোকজন থানায় ঢুকেছেন, সে সময়ে থানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে আক্রমণ শুরু হয়। অভিযোগ, পিচ রাস্তার উপরে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুঁসি চালাতে থাকে তৃণমূলের লোকজন। মুখে বলতে থাকে, “বিজেপি করার সাধ ঘুঁচিয়ে দেব।” পরিস্থিতি উত্তপ্ত বুঝে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার পরে বিজেপির নেতাদের পুলিশি পাহারায় গাড়িতে তোলা হয়। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চলাকালীন পুলিশের ভূমিকা ছিল নেহাতই দর্শকের। গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুফলবাবু। পুলিশ অবশ্য এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকারই করেনি। অন্য দিকে, এই ঘটনার সম্বন্ধে সাগরের তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। থানা থেকে খোঁজখবর করে দেখব।”
কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে মৃত ৩ শ্রমিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • উস্তি
পাতকুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল তিন শ্রমিকের। শনিবার উস্তির দেউলা গ্রামের ঘটনা। মৃতদের নাম কালাম গাজি (৪০), আসমদ হালদার (৩২) ও আনসার হালদার (৩৫)। তিনজনেই ওই গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষাক্ত গ্যাসেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বিবির বাড়িতে কুয়ো পরিষ্কার করতে এসেছিলেন ওই তিন জন। প্রথমে কামাল নীচে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করতে নেমে আসমদও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত নীচে নামেন আনসার। তিনিও আর ওঠেননি। কিছু ক্ষণ পরে ওই বাড়ির লোকেরা পাতকুয়োর কাছে এসে নীচে তিন জনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। দেড় ঘণ্টা পরে পুলিশ ও দমকল গিয়ে ক্রেনের সাহায্যে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে।
বিপজ্জনক বাঁধ কোটালের আগে সংস্কারের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নামখানা
দিন পনেরো আগে ভরা কোটালের জেরে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল নামখানার নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীপুর গ্রাম। মাটি ফেলে সেই বাঁধ সংস্কার করে সেচ দফতর। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেই মাটি অনেকটাই ধুয়ে যাওয়ায় নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সামনেই ফের কোটাল রয়েছে। এর মধ্যে বাঁধ পাকাপোক্ত ভাবে সারানো না হলে ফের এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। এ নিয়ে ইতিমধ্যে তাঁরা সেচ দফতর এবং সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ। সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া এবং সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা ইতিমধ্যে ওই গ্রামের বেহাল নদীবাঁধ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “ওখানে নদীর জলের যা তোড়, তাতে বাঁধ টিকিয়ে রাখার সমস্যা রয়েছে। তবুও যাতে বাঁধ রক্ষা করা যায়, সে দিকে নজর দিতে সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে ওই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা চলছে।” কাকদ্বীপ মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার শুভাশিস ঘোষ বলেন, “প্রয়োজনীয় জমি না মেলায় ওই এলাকার নদীবাঁধ পাকাপাকি ভাবে তৈরি করা যাচ্ছে না। আপাতত মাটি ফেলেই বাঁধ সংস্কার করা হবে।” ২০০৯ সালে আয়লা-ঝড়ে ওই গ্রামের হাতানিয়া-দোয়াানিয়া এবং সপ্তমুখী এই দুই নদীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। তার পরে বাঁধ আর স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হয়নি। প্রতি বর্ষাতেই কোটালের সময়ে বাঁধ ভাঙে। প্লাবিত হয় লোকালয়। নষ্ট হয় খেত। ভেসে যায় মাছ চাষের পুকুরও। দিন কয়েক আগেও ভরা কোটালের জেরে সপ্তমুখী নদীবাঁধের প্রায় ৫০০ মিটার এবং হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীবাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার ভেঙে যায়। নোনা জলে ডুবে যায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষিজমি ও মাছের পুকুর। সেই একই পরিস্থিতি যাতে ফের না হয়, সে কারণেই নদীবাঁধ দু’টি পাকাপাকি ভাবে মেরামতির দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা।
আরএসপি-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী ও সাগর
বাম দল ছেড়ে অনেকে যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার বিকেলে বাসন্তীর মসজিদবাটিতে জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য আরএসপি-র অলকেশ বেনিয়া, ঝর্ণা মিস্ত্রি এবং সিপিএমের বনানী পাইকের নেতৃত্বে এলাকার প্রায় দেড় হাজার সিপিএম ও আরএসপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল (নস্কর), গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রমুখ। দল ছাড়ার কারণ হিসাবে অলোকেশ বেনিয়া, বনানী পাইকরা জানান, দলে এই মুহূর্তে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব আছে। তা ছাড়া, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে মানুষের উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক। এ প্রসঙ্গে বাসন্তীর বিধায়ক তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, “তৃণমূলের লাগাতার হুমকি, সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলা এবং জমি দখলের জন্য বাধ্য হয়ে ওঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” জয়ন্তবাবু অবশ্য বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকে বামফ্রন্টের অস্তিত্ব শেষ। সেটা মানুষ বেশ বুঝতে পারছে। তা ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা করেই তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” অন্য দিকে, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির ধসপাড়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের বিপিন পড়ুয়া রবিবার দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। রুদ্রনগর বাদারে এই উপলক্ষে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি অঞ্জন দাস, দলের নেতা দেবাশিস জানা প্রমুখ। বিপিনবাবু বলেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমি দলত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।”
লুঠপাট সন্দেশখালিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
দিনের বেলায় মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে মারধর করে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা এবং কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না ছিনিয়ে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালি থানার কোড়াকাটি পঞ্চাযেতের পুঁটিমারি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোল্লাখালি বাজারে সোনার দোকান আছে কুমারেশ কর্মকার এবং গোপাল সরকারের। এ দিন ভোরে টাকা ও গয়না ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বসিরহাটের দিকে আসছিলেন। মোটর বাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকিয়ে লুঠপাট চালায়।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মোটরচালিত ভ্যানরিকশার চালকের। পুলিশ জানায়, হাড়োয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম নাসিম মোল্লা (৩৫)। দু’জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সন্দেশখালির মন্দিরতলায় ন্যাজাট রোডে। ভ্যানরিকশাটি হাম্পে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টায়।
বধূকে ধর্ষণ করে খুনের নালিশ
পুকুর থেকে এক বধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার ভোরে বাসন্তীর ৬ সোনাখালির বরপাড়াতে গ্রামবাসীরা পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। বছর চল্লিশের ওই মহিলাকে ধর্ষণ এবং পরে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে বলে জানায় পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সোনাখালিতে নিজের পানের দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন মহিলা। সে সময়ে তাঁকে কেউ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ভাইয়ের। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন।
প্রিয় শিক্ষক স্কুলে ফিরুন, চায় পড়ুয়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর
—নিজস্ব চিত্র।
প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হয়ে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন অশোকনগর তাজপুর প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মনিরুল হক। প্রিয় শিক্ষককে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে পড়ুয়ারা। শনিবার সকালে বাধ্য হয়ে তাঁকে ফোন করে স্কুলে ডেকে আনেন অভিভাবকেরা। স্কুলে আসতেই স্যারকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি আর স্কুলে ফিরে আসার অভিযোগ জানায় পড়ুয়ারা। যা দেখে আপ্লুত মনিরুল। গত ১৩ জুন অশোকনগরেরই খোশদেলপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন মনিরুল। গরমের ছুটি চলায় তা জানত না পড়ুয়ারা। ২৬ জুন তাঁরা স্কুলে গিয়ে জানতে পারে। তার পরেই শুরু হয় কান্নাকাটি, না খাওয়া। স্যারকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে পড়ুয়ারা। অভিভাবকেরা জানিয়ে দেন, তিনি ফিরে না এলে ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পাঠাবেন না। তাঁরা জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি সব সময়ে তাঁদের পাশে ছিলেন ওই স্যার। মনিরুল হক বলেন, “আমি আপ্লুত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে ফের আসতে পারি।”
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম স্বরূপকুমার পাত্র (২৮)। পুলিশ জানায়, বাঁকুড়ার বসিন্দা স্বরূপবাবু ব্যারাকপুরের লাটবাগানে ২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল ছিলেন। শুক্রবার রাতে ব্যরাকপুর ও টিটাগড়ের মাঝে ১৩ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy