গরুচোর সন্দেহে দুই ভাইকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানা এলাকার বাগজোলা পঞ্চায়েতের কৃত্তিপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় নামদাল মণ্ডল এবং তার ভাই হাসানুরকে স্থানীয় রুদ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নামদানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’তিন বছর ধরে এই এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়ে চলেছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাতে ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ওই দুই ভাইকে গাড়ি নিয়ে বাড়ির থেকে বের হতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। এলাকার কয়েকজন মোটর বাইক নিয়ে পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু সেই সময় তাদের ধরতে পারা যায়নি।
ভোরবেলায় কৃত্তিপুর মোড়ের কাছে দুই ভাইকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সে সময়ে ক্ষিপ্ত জনতা গরুচোর সন্দেহে মারধর শুরু করে দুই ভাইকে। আরও লোক জমা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে গ্রামবাসীরা ওই দুই ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে। অবশেষে বাদুড়িয়া থানার ওসি কল্লোল ঘোষ জনতাকে শান্ত করে দুই ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এই এলাকায় গত কয়েক মাসের মধ্যে শ’দেড়েক পরিবারের গরু চুরি হয়েছে বলে গ্রামের লোকের অভিযোগ। সহিদুল ইসলাম, কালাম মণ্ডল, ফতেমা বিবিরা বলেন, “দিনের পর দিন এলাকায় দুষ্কৃতীরা গরু পাচার চালায়। তারা গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে। পুলিশে এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এ দিন গ্রামবাসীরা নিজের হাতে আইন তুলে নেন।” স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য মোসলেম মণ্ডল বলেন, “এই দুই ভাইয়ের হঠাৎ আর্থিক উন্নতি দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ মনে হয়। এ দিন তাদের থেকে কোথায় গিয়েছিল জানতে চাওয়ায় তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। ফলে সন্দেহ দৃঢ় হয়। তারপরই শুরু হয় মারধর।” বাদুড়িয়া থানায় গ্রামবাসীরা গরু চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই থানাতেই মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে ওই দুই ভাইয়ের বাড়ির লোকজন। দু’টি পৃথক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy