দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম বনগাঁর স্কুল শিক্ষিকা অদিতি অধিকারীর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। অদিতিদেবীর বাবা মোহনবাবু বুধবার বলেন, “চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভাল হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।” সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন অদিতি। পার্ক সাকার্সের একটি নার্সিংহোমে ওই রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও অদিতি ভেল্টিনেশনে রয়েছেন। সামান্য কথাবার্তাও বলছেন। তবে এখনও কিছু খেতে দেওয়া হয়নি।
বুধবার দুপুরে বনগাঁ শহর তৃণমূলের সভাপতি শঙ্কর আঢ্য, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোস্না আঢ্য, বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস-সহ অনেকে অদিতিদেবীর বাড়িতে যান। চিকিত্সার বেশ জন্য কয়েক হাজার টাকা তুেলে দেওয়া হয়েছে পরিবারটির হাতে।
গুলিচালনার ঘটনায় অদিতি অবশ্য দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিলেন না। তৃণমূল নেতা হুজুর আলি শেখকেই খুন করতে এসেছিল তিন দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি লাগে অদিতির। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার পেট্রাপোল থেকে ধৃত আজব শেখকে বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ন’দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মূল অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের অনুমান, তারা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। কেন খুনের চেষ্টা হয়েছিল হুজুরকে? জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “হুজুরের উপরে হামলা কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মূল অভিযুক্তেরা ধরা পড়লে সব জানা যাবে।” তবে পুলিশের একাংশের অনুমান, পুরনো কোনও আক্রোশের জেরেই হামলা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দু’টি কারণ পুলিশ কর্তাদের কাছে তদন্তে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ১৮ মে পেট্রাপোল সীমান্তে দিনের বেলায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল রসিদ মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা কয়েকটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রে ভাঙচুর, লুঠপাট করেছিল বলে অভিযোগ। গ্রেফতার হয় হুজুর আলির ছেলে সিন্টু-সহ সাত জনকে। ওই ঘটনায় মোট ন’জনের বিরুদ্ধে বনগাঁ আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। সিন্টু জামিনে মুক্ত। পুলিশের অনুমান, ওই ঘটনার জেরে হুজুরের উপরে হামলা হয়ে থাকতে পারে। আবার, পঞ্চায়েত ভোটের পরে হুজুরের জামাই নাসিরকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল। অভিযুক্তদের শাস্তির জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন হুজুর। তাঁকে সরিয়ে দিলে মামলায় প্রভাব পড়বে, এই ধারণা থেকেও খুনের চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের একাংশের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy