চুরি-ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। —ফাইল চিত্র।
একই রাতে দেগঙ্গার একাধিক বাড়িতে চুরি-ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। শনিবার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের কলাপোলে পাশাপাশি দু’টি বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা টাকা-গয়না লুট করে পালায়। ওই রাতেই বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের কুঁচেমোড়া গ্রামের একটি বাড়িতে এবং অম্বিকানগরে একটি কালীমন্দিরে চুরি হয় বলে অভিযোগ।
শীতের মরসুমে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়তে পারে, এই অনুমান করে কয়েক দিন আগেই এলাকায় টহল বাড়ায় পুলিশ। রাত পাহারায় স্থানীয় মানুষজনকেও শামিল করা হয়। কিন্তু এ সবের পরেও পরপর চুরি-ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, “আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবুও চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একাধিক দল তদন্ত করছে। দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলাপোলের রাস্তার দু’পাশে দুই ব্যবসায়ী মৃণাল চৌধুরী এবং তরুণতপন দেবের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনটি বাইকে চেপে আট জন দুষ্কৃতী এসে দু’টি দলে ভাগ হয়ে দু’টি বাড়িতে হানা দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘরে আটকে রেখে লুটপাট চালানো হয়।
মৃণালের পরিবারের দাবি, তিনটি আলমারির লকার ভেঙে সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়েছে ডাকাতেরা। তরুণতপন দেবের পরিবার সূত্রের খবর, ১৫ ভরি সোনার গয়না ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে। ওই পরিবারের লোকজন জানান, দুষ্কৃতীরা হনুমান-টুপি পরে ছিল। হিন্দিতে কথা বলছিল। দুষ্কৃতীদের এক জন আবার সাবলীল বাংলায় মহিলাদের ভয় না পেতে আশ্বস্ত করে বাধা দিলে গুলি করার হুমকিও দেয়। পুলিশকে খবর দিলেও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।
বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের কুঁচেমোড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা খুরশিদ আলম সপরিবারে অজমেঢ় শরিফে গিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, খুরশিদদের বাড়ির দরজায় দু’টি তালা লাগানো ছিল। রবিবার সকালে তাঁরা দেখেন, দু’টি তালাই ভাঙা। ভিতরে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। চুরির কথা জেনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন খুরশিদরা। অম্বিকানগরের কালীমন্দির থেকে প্রণামীর অর্থ ও দেবীর গয়না চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy