সুরমা মণ্ডল।—নিজস্ব চিত্র।
তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মানুষ।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে যোগেশগঞ্জে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। সুরমা মণ্ডল (২৩) নামে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের পাশেই থাকেন গৌতম মণ্ডল। স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার। গৌতম ভিনরাজ্যে কর্মরত। যোগেশগঞ্জ বাজারে তাঁদের একটি মুদিখানাও আছে।
বড় মেয়ে সুরমা বিএড পড়ছিলেন। ১৫ জুলাই মাধবকাঠি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতে সুরমা ও তাঁর মা সুলতা দোকানে ছিলেন। পুলিশের কাছে সুলতা দাবি করেন, সন্ধে ৭টা নাগাদ সুরমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি চলে যায় মেয়ে। রাত ৮টা নাগাদ সুলতা দোকান থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, রান্না ঘরে আলো জ্বলছে। সেখানে ওড়নার ফাঁসে ঝুলছে মেয়ের দেহ।
সুলতার কান্নাকাটিতে পড়শির চলে আসেন। সুরমাকে পাশের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা দেহ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। শেষে পুলিশ তিন জনকে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রেজিস্ট্রি বিয়ের খবর পাওয়ার পরে সামশেরনগরের বাসিন্দা, হেমনগর উপকূলবর্তী থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সুরমাকে বিয়ে করতে চেয়ে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিলেন। সুলতা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের আত্মহত্যার কোনও কারণ নেই। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে মেয়ের দুই বান্ধবীর সহযোগিতায় ওকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে পালায়।’’ অভিযুক্তদের দাবি, সুরমার মৃত্যুর সঙ্গে তারা কোনও ভাবেই জড়িত নয়।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুরমার মোবাইল ফোনটি নিজেদের হেফাজাতে নিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy