শ্বশুরবাড়ির পিছনে পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হল মহিলার দেহ। রবিবার সকালে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গঙ্গাসাগর কোস্টালের গঙ্গাসাগর গ্রামে।
মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর পুলিশ গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে শান্ত হয় জনতা। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বর্ণলতা মণ্ডল (৪২) নামে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে ওই এলাকার বেগুয়াখালি গ্রামের স্বর্ণলতার সঙ্গে পেশায় রাজমিস্ত্রি রাধেশ্যাম মণ্ডলের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির চার ছেলেমেয়ে। পুলিশ জানায়, বছর কয়েক ধরে রাধেশ্যামের সঙ্গে প্রতিবেশী মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই বিবাদ চলছিল। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটাতে মাস খানেক আগে গ্রামে সালিশি সভাও ডাকা হয়েছিল। এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ স্বর্ণলতার বাপের বাড়ির লোকজন তাঁর মৃত্যুর খবর পান। ওই মহিলার দাদা সব্যসাচী দাস জানান, প্রতিবেশীরা বোনের মৃত্যুর খবর দেন। এরপরেই লোকজন নিয়ে বোনের শ্বশুরবাড়িতে যান তাঁরা। পুকুর পাড়ে গাছের ডালে শাড়ির ফাঁস ঝুলছে। তার পাশেই বোনের ঝুলন্ত দেহ পড়ে রয়েছে। সব্যসাচী বলেন, ‘‘আমার বোনকে রাধেশ্যাম শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। লোকজন দেখে ফেলায় দেহ রেখে পালিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy